শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরা-৪ সংসদীয় আসনে কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলাকে অন্তর্ভুক্ত রাখার দাবিতে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট ২০২৫) বেলা ১২টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডলের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিটি প্রদান করেন কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য শেখ এবাদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ শফিকুল ইসলাম বাবু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান, সাবেক তথ্য বিষয়ক সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুল, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক শেখ শাহীন কবীর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম রেদাওয়ান ফেরদাউস রনি, বিএনপি নেতা শেখ আজাদ, বিএনপি নেতা হাসানুর রহমান, ইসমাঈল হোসেন ও রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সম্পাদিকা তোহা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, শ্যামনগর উপজেলা বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং উপকূলীয় সুন্দরবন সংলগ্ন একটি এলাকা। ১৯৭০ সাল থেকে এটি একটি পৃথক নির্বাচনী এলাকা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে নির্বাচন কমিশনের পুনঃবিন্যাসের ফলে এটি সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাথে যুক্ত হয়।
বিএনপির দাবী, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের ইউনিয়নসমূহের জনগণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও প্রশাসনিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বর্তমান প্রস্তাবিত সীমানা পরিবর্তনের ফলে শ্যামনগর ও আশাশুনী একত্রিত হলে জনগণের যাতায়াত ও প্রশাসনিক দিক থেকে মারাত্মক অসুবিধা হবে। শ্যামনগর ও আশাশুনীর মধ্যে সরাসরি কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই, যা জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়াবে।
বিএনপি নেতারা মনে করেন, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জকে একীভূত রেখে সাতক্ষীরা-৪ আসন পুনঃবিন্যাস করলে জনগণের ভোগান্তি কমবে এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। তারা এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনঃবিন্যাসের এই প্রক্রিয়া শ্যামনগর ও আশাশুনীর জনগণের জন্য কতটা উপকারী হবে তা নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে, প্রস্তাবিত পরিবর্তনের ফলে জনগণের যাতায়াতের সমস্যা ও দূরত্ব বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।