সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিরামপুরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে দিনাজপুরের বিরামপুরে উপজেলা সাংবাদিকবৃন্দে উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বিরামপুর ঢাকা মোড়ে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিরামপুর প্রেসক্লাবের (কলেজ বাজার) সভাপতি দেশ রুপান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি মোরশেদ মানিক।
বিরামপুর উপজেলার সাংবাদিকবৃন্দ ছাড়াও হাকিমপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে 'সাংবাদিক সুরক্ষা' আইন প্রণয়ন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায়। দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবাদিক হত্যাকারী এবং তাদের সাথে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানায় বক্তারা।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বিরামপুর প্রেসক্লাবের (কলেজ বাজার) সেক্রেটারি মাইটিভি বিরামপুর প্রতিনিধি কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- বিরামপুর প্রেসক্লাবের (কলাবাগান) আহ্বায়ক শাহ আলম মন্ডল,সংগ্রাম পত্রিকার বিরামপুর প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক ডাঃ নুরুল ইসলাম, মোহনা টিভির বিরামপুর প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক আকরাম হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম, আজকের পত্রিকা বিরামপুর প্রতিনিধি মাহমুদুল হক মানিক, রাইজিংবিডি দিনাজপুর প্রতিনিধি মোসলেম উদ্দিন,কলবেলা বিরামপুর প্রতিনিধি আজহার ইমাম, সাংবাদিক ইব্রাহীম মিয়া, সাংবাদিক সামিউল আলম প্রমূখ।
বিরামপুর প্রেসক্লাবের (কলেজ বাজার) সভাপতি মোরশেদ মানিক বলেন,তুহিন হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হত্যাকারী এবং তাদের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। এভাবে অহরহ সাংবাদিক নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড চলতে থাকলে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে টিকে থাকতে পারবে না। সাগর-রুনীসহ এযাবৎ যত সাংবাদিক নিহত হয়েছে সকল সাংবাদিকের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে দাবি জানাচ্ছি।
বিরামপুর প্রেসক্লাবের (কলাবাগান) আহ্বায়ক শাহ আলম মন্ডল বলেন, বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এর সময় সারা বাংলাদেশে বিগত ১৫/১৬ বছর সাংবাদিকদের কন্ঠকে রোধ করা হয়েছিল। স্বাধীন সাংবাদিকতা বন্ধ করার জন্য ডিজিটাল-১ নামের আইন তৈরি করা সাংবাদিকদের কলম কে রুদ্ধ করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম সারা বাংলাদেশের মিডিয়াকর্মীরা স্বাধীনভাবে তাদের সাংবাদিকতা করবে। কিন্তু আমরা ইদানিং দেখতে পাচ্ছি সারা দেশে পুনরায় সাংবাদিক নির্যাতন শুরু হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা শুধু আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা কান্ডের প্রতিবাদ নয় সারা বাংলাদেশের সাংবাদিকদের যেভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগউৎকণ্ঠা প্রকাশ করে দৈনিক আজকের পত্রিকার মাহমুদুল হক মানিক বলেন, অবিলম্বে 'সাংবাদিক সুরক্ষা' আইন প্রণয়ন করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে।
মানববন্ধন শেষে সকল সাংবাদিক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিরামপুরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন ঢাকা মোড়ে কর্মসূচী শেষ করেন।