গাজীপুর শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের জানাযার নামাজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাজারো শোকাহত মানুষ, যারা তাদের প্রিয় সাংবাদিককে শেষ বিদায় জানাতে জড়ো হয়েছিলেন। জানাযার নামাজের ইমামতির দায়িত্ব পালন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
আসাদুজ্জামান তুহিন, যিনি দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন, তার বিশেষত্ব ছিল সাহসী ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫ বছর। তুহিনের আকস্মিক মৃত্যুতে সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে এবং তার সহকর্মী ও অনুরাগীরা তাকে স্মরণ করেন একজন দক্ষ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক হিসেবে।
জানাযায় অংশগ্রহণকারী এক সহকর্মী বলেন, 'তুহিন ভাই ছিলেন আমাদের সাংবাদিকতার পথপ্রদর্শক। তার মধ্যে ছিল সত্য প্রকাশের অদম্য ইচ্ছা। তার মৃত্যু আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।'
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান জানাযার পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, 'আমরা আজ এক প্রতিভাবান সাংবাদিককে হারালাম, যিনি সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরতে ছিলেন অকুতোভয়। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন।'
তুহিনের মৃত্যুতে তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী এবং পেশাজীবীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তার পেশাগত জীবন এবং সমাজের প্রতি অবদানের কথা স্মরণ করে তারা বলেন, 'তুহিনের মতো সাহসী সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ স্বরূপ।'
বাংলাদেশের সাংবাদিক মহলে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তুহিনের মৃত্যুতে আমরা এক মহান সাংবাদিককে হারালাম, যার শূন্যস্থান পূরণ করা সম্ভব নয়। তার স্মৃতিচারণ এবং তার কর্মে সমাজের প্রতি তার দায়বদ্ধতার কথা বারবার উঠে আসছে।
সাংবাদিকতার পেশাগত জীবনে তুহিন ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্ব। তার লেখায় সব সময় সমাজের দুঃখ-দুর্দশা এবং সমস্যাগুলি গুরুত্ব পেত। তার সাহসী লেখনী ও প্রতিবেদন তাকে একটি অনন্য স্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তুহিনের স্মরণে আগামী সপ্তাহে গাজীপুর প্রেসক্লাবে একটি স্মরণসভা আয়োজন করা হবে, যেখানে তার সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে স্মরণ করবে। তার স্মরণসভায় তার পেশাগত জীবনের অভিজ্ঞতা, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং তার সাহসী সাংবাদিকতার গল্প শোনা যাবে।
তুহিনের মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন এবং তার পরিবারকে এই শোক সহ্য করার শক্তি দিন।