নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গতকাল (৭ আগস্ট) বুলাওয়েতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের ২য় টেস্টে মাঠে ফেরেন জিম্বাবুয়ের এই সাবেক অধিনায়ক (১ম টেস্টে নিউজিল্যান্ড জয়লাভ করে ৯ উইকেটে)। তিনি একসময় নিয়মিত উইকেট-কিপিংও করতেন।
২০০৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ব্রেন্ডন টেলর ছিলেন জিম্বাবুয়ে দলের অন্যতম সদস্য। যে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন নাফিস ইকবাল, আফতাব আহমেদ, এনামুল হক জুনিয়র, পেসার নাজমুল হোসেন, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ। ২০১৫ সালে তিনি তার ব্যক্তিগত ৩য় ওডিআই বিশ্বকাপ খেলে মাত্র ২৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একবার অবসর নিয়েছিলেন। পরে আবার তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরে আসেন।
গতকাল ব্রেন্ডন টেলর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাট করতে নামেন। যেটা অনেকটা ব্যতিক্রমধর্মী! তিনি সাধারণত ৩ বা ৪ নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করেছেন তার ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ সময়। দীর্ঘদিন পর ফিরে তিনি যে একদম ব্যর্থ হয়েছেন, তা বলা যাবে না। জিম্বাবুয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১০০ রান তুলতেই ৯ উইকেট হারায় এবং ১২৫ রানে সব গুটিয়ে যায়। টেলর ৪৪ রান করেন ১০৭ বল খেলে ৬টি চার সহ। তিনি হয়ত যোগ্য সাপোর্টের অভাবেই তার ইনিংসটাকে আরো বড় করতে পারেননি।
ব্রেন্ডন টেলরের বয়স এখন ৩৯। তিনি ২০০৪ সালের ৬ মে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হারারেতে তার টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করেন। বর্তমানে যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন, ব্রেন্ডন টেলর তাদের মধ্যে সবার আগে টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করা প্লেয়ার!
এই টেস্টের আগ পর্যন্ত ব্রেন্ডন টেলর ৩৪ টেস্টে ৩৬.২০ গড়ে রান সংগ্রহ করেছেন ২৩২০। ১২ টি ফিফটি এবং ৬ টি সেঞ্চুরি রয়েছে তার টেস্ট ক্যারিয়ারে। তিনি ওয়ানডে খেলেছেন ২০৫ টি। ৩৫.৫৫ গড়ে রান করেছেন ৬৬৮৪। ফিফটি ৩৯ টি এবং শতক ১১ টি। টেলরের টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারটা অবশ্য কিছুটা সাদামাটাই বলা যায়। তিনি ৪৫ টি টি-২০ ম্যাচে ৯৩৪ রান করেছেন ৬ টি ফিফটি সহ। গড় ২৩.৯৫, স্ট্রাইক রেট ১১৮।