বোলার ছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। প্রথম বলেই কোনো অপেক্ষার অবকাশ রাখেননি রুট—চতুরতার সঙ্গে বল পাঠান বাউন্ডারিতে। পূর্ণ করেন কাঙ্ক্ষিত শতক।
এটি রুটের ১৫৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৩৭তম সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে তিনি টেস্ট শতকের তালিকায় টপকে গেছেন স্টিভ স্মিথ ও রাহুল দ্রাবিড়কে, দুজনেরই রয়েছে ৩৬টি করে শতক। এখন তার সামনে মাত্র চার কিংবদন্তি ব্যাটার—শচীন টেন্ডুলকার (৫১), জ্যাক ক্যালিস (৪৫), রিকি পন্টিং (৪১) ও কুমার সাঙ্গাকারা (৩৮)।
লর্ডসেই রুট গড়েছেন আরেকটি বড় মাইলফলক—ভারতের বিপক্ষে প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্টে তিন হাজার রানের কীর্তি। ৬০ ইনিংসে তার রান এখন ৩০৫৯। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিকি পন্টিংয়ের চেয়ে তিনি এগিয়ে প্রায় ৫০০ রান।
তবে শতক পূর্ণ করলেও বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি রুট। বুমরাহর ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ১০৪ রানে। তার আগে মাঠ ছেড়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস, শরীরিক অস্বস্তিতে ভুগে ১১০ বলে করেছেন ৪৪ রান।
এরপর উইকেটে আসেন তরুণ জেমি স্মিথ। নিজের আগমনের কিছুক্ষণ মধ্যেই রেকর্ড বইয়ে নাম লেখান এই উইকেটকিপার ব্যাটার। টেস্ট ইতিহাসে উইকেটকিপার হিসেবে সবচেয়ে কম বলে ও যৌথভাবে সবচেয়ে কম ইনিংসে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন স্মিথ। মাত্র ১৩০৩ বল খেলেই পৌঁছে গেছেন এই মাইলফলকে, যেখানে দ্বিতীয় স্থানে আছেন পাকিস্তানের সরফরাজ আহমেদ (১৩১১ বল)। ইনিংস সংখ্যায় স্মিথের পাশে কেবল একজনই—দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক, তিনিও ২১ ইনিংসেই করেছিলেন এক হাজার রান।