চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার মানবিক ও সামাজিক সংগঠন 'মানবিক রাঙ্গুনিয়া' সম্প্রতি এসএসসি, দাখিল, এবং ভোকেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩০ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করে। বৃহস্পতিবার সকালে শিলক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মানবিক রাঙ্গুনিয়ার উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. আবছার হোসেন তালুকদার। উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা যুবদলের আহ্বায়ক মুহাম্মদ শাহজাহান সিকদার।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মানবিক রাঙ্গুনিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কামরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিলক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাবেদ হোসেন তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, আবুল হোসাইন চৌধুরী, বাবর আলম তালুকদার, সরফভাটা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক রুপা আক্তার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মানবিক রাঙ্গুনিয়ার সাধারণ সম্পাদক জাকের হোসেন বাপ্পু, জমির হোসেন, ইব্রাহিম হোসেন, আরমান, সৈকত, ওমর ফারুকসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার ১১টি বিদ্যালয়ের মোট ৩০ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সম্মাননা প্রদান। এই সম্মাননা প্রদান কেবল তাদের কৃতিত্বের স্বীকৃতি নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য তাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
মানবিক রাঙ্গুনিয়ার এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন উদ্যম জাগ্রত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা আগামীতেও এমন উদ্যোগ গ্রহণ করতে আগ্রহী। শিক্ষার্থীদের সফলতা ও তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য এ ধরনের সংবর্ধনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও সমাজে তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে জীবনে সাফল্য অর্জনের আহ্বান জানান। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা যাতে সঠিক দিকনির্দেশনা পায় সে বিষয়ে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন।
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি রাঙ্গুনিয়ার শিক্ষাক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যতে তাদের উচ্চতর শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে উন্নতির জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে।
মানবিক রাঙ্গুনিয়ার এই প্রচেষ্টা সমাজে শিক্ষা ও উন্নয়নমুখী চিন্তাধারার প্রসার ঘটাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে এই ধরনের উদ্যোগের গুরুত্ব অপরিসীম এবং এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে।