close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

রাইড শেয়ার চালকের ফাঁদে কর্মজীবী নারী, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষক গ্রেপ্তার..

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
রাইড শেয়ার চালকের ফাঁদে কর্মজীবী নারী, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষক গ্রেপ্তার

রিপোর্ট মেহেদী হাসান: রাজধানী থেকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে যাত্রা করা এক কর্মজীবী নারী ধর্ষণ ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। ভয়াবহ এই ঘটনার প্রধান আসামিকে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে নরসিংদী জেলা পুলিশ।

গত ২৮ মে, বিকেল ৩:৩০ মিনিটে, মিরপুর ১২ নম্বর এলাকা থেকে শ্যামলীতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাইড শেয়ারের একটি মোটরসাইকেলে ওঠেন ওই নারী যাত্রী। চালক মো. শাহপরান (৩০) কৌশলে তাকে গন্তব্যের পরিবর্তে নিয়ে যান নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল এলাকার একটি নির্জন স্থানে।
রাত ৯:১৫ মিনিটে, পাঁচদোনা-টঙ্গী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত একটি কালভার্টের কাছে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয় তাকে। পরবর্তীতে ছিনিয়ে নেওয়া হয় তার সাথে থাকা নগদ অর্থ এবং বিকাশের মাধ্যমে আদায় করা হয় আরও টাকা, পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে।

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পলাশ থানা পুলিশ দ্রুত ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরদিন, ২৯ মে, তিনি থানায় একটি ধর্ষণ ও ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় মো. শাহপরান-কে, এবং সহায়তাকারী হিসেবে দুই অজ্ঞাত ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়।

নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান-এর নির্দেশনায় থানা পুলিশ, ডিবি এবং অন্যান্য ইউনিটের সমন্বয়ে অভিযানে নামে জেলা পুলিশ।
অবশেষে ৩১ মে রাত, ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে পলায়নরত অবস্থায় ধর্ষক শাহপরান কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আজ ১ জুন রোববার, আদালতে হাজির করা হলে শাহপরান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। বর্তমানে মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং বাকি সহযোগীদের শনাক্তে কাজ করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গ্রেফতারকৃত আসামির বাড়ি ঢাকা কেরানীগঞ্জ থানার তারানগর বটতলী দক্ষিণপাড়া আব্দুল আলীর ছেলে মো. শাহপরান। ভুক্তভোগী মিরপুর এলাকার কর্মজীবী নারী ও এক সন্তানের জননী।

এই ঘটনায় জেলা পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ ও অভিযানে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অভিযানের প্রশংসা এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সাড়া দেখা গেছে।

নরসিংদী জেলা পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে: “নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশ সর্বদা সক্রিয়। এমন নৃশংস অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।”

এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করলো— প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে অপরাধ সংঘটন যতই আধুনিক হোক না কেন, আইনের হাত আরও দ্রুত ও শক্তিশালী। জনসচেতনতা ও দ্রুত পুলিশি পদক্ষেপই পারে নারীদের জন্য সমাজকে আরও নিরাপদ করতে।

Ingen kommentarer fundet