ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে এক নজিরবিহীন বাচনভঙ্গির লড়াই শুরু হয়েছে, যেখানে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর তোলা 'ভোট চুরির' অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা দেশ। প্রায় এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিরোধী দল সফলভাবে রাজনৈতিক আলোচনার محور নিয়ন্ত্রণ করায়, ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পাল্টা কৌশল হিসেবে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে, যাকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা 'চাণক্য নীতি' বলে অভিহিত করছেন।
রাহুল গান্ধী নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরাসরি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনার পর থেকেই বিষয়টি জাতীয় আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে। বিরোধী শিবিরের এই আক্রমণাত্মক প্রচারণার জবাবে বিজেপি সরকার সংসদের বাদল অধিবেশনে একাধিক পাল্টা কৌশল প্রয়োগ করে। এর মধ্যে অন্যতম হলো এমন একটি সাংবিধানিক সংশোধনী বিল উত্থাপন, যেখানে নির্দিষ্ট অভিযোগে কোনো সাংসদ ৩০ দিনের বেশি কারাগারে থাকলে তার পদ খারিজ হয়ে যাবে। বিরোধীরা এটিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের একটি 'কিল সুইচ' হিসেবে দেখছে।
এর পাশাপাশি, সরকার সমর্থক গণমাধ্যম ও নেতারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সামনে আনছেন, যেখানে ভারতের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের কথা বলা হচ্ছে। একই সাথে, স্বাধীন সাংবাদিক এবং ছাত্র বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অনলাইন গেমিং নিষিদ্ধ করা বা জিএসটি সরলীকরণের মতো জনতুষ্টিমূলক নীতিগুলোও এই মুহূর্তে আলোচনার মোড় ঘোরানোর একটি প্রচেষ্টা।