close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

"গণমাধ্যম জনগণের, মালিকদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় — নবীন নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ”..

Rashed Islam avatar   
Rashed Islam
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে রাজনৈতিক আনুগত্য, কর্পোরেট স্বার্থ এবং কাঠামোগত সংকট নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নবীন রাজনৈতিক নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড আইডিতে প্রকাশিত এক দীর্ঘ পোস্টে ত..

রাশেদ ইসলাম, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ



গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্বহীনতা, সংবাদ বিকৃতি ও কাঠামোগত সংকট নিয়ে সমালোচনা করেছেন নবীন রাজনৈতিক নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি তার ফেসবুক ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া পোস্টে অভিযোগ করেন, দেশের অনেক গণমাধ্যম এখন বিশেষ রাজনৈতিক দল, কর্পোরেট স্বার্থ কিংবা স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত সংবাদ হারিয়ে যাচ্ছে, বেড়ে যাচ্ছে চরিত্রহনন ও বিভ্রান্তিকর উপস্থাপনার প্রবণতা।

তিনি উল্লেখ করেন, তরুণ নারী রাজনীতিকদের প্রতি ধারাবাহিক চরিত্রহননমূলক প্রচারণা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রেন্ড নির্ভর চটকদার শিরোনাম এবং গঠনমূলক বক্তব্য বাদ দিয়ে বিভেদ সৃষ্টিকারী অংশকে হাইলাইট করা—এগুলো গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করছে।

হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, দেশে টেলিভিশনের জন্য আলাদা আইন না থাকায় সরকার চাইলে যেকোনো সময় চ্যানেল বন্ধ করে দিতে পারে। অনলাইন ও টিভি সাংবাদিকদের জন্য কোনো নির্ধারিত বেতন কাঠামো নেই। অনেক মফস্বল সাংবাদিক কোনো বেতনই পান না, বরং আইডি কার্ড পেতে উল্টো টাকা দিতে হয়।

তিনি আরও বলেন, “সাংবাদিকদের ওপর হামলা বা হত্যার বিচার হয় না, ফলে তারা এক অনিশ্চিত জীবনে বাস করেন।” রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপ, বিশেষ করে ডিজিএফআই-এর প্রভাব গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রধান বাধা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কর্পোরেট প্রভাবের প্রসঙ্গে তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই ধরনের চাপের কারণে অনেক মালিক ও সাংবাদিক ক্ষমতার কাছে নতি স্বীকার করেন।

পোস্টের শেষে হাসনাত আবদুল্লাহ আহ্বান জানান—গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক ও কর্পোরেট প্রভাবমুক্ত করা, ওয়েজবোর্ড কার্যকর করা, সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা রোধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা জরুরি। তার ভাষায়, “গণমাধ্যম জনগণের আস্থা হারালে তার পতন শুধু সময়ের ব্যাপার।”

No comments found