শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত তানভীর হোসেনের সাফল্য তার পরিবারের জন্য গৌরবের বিষয়। সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের এই তরুণ তার একাডেমিক কৃতিত্বের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
তানভীরের জন্ম ১৯৯৭ সালের ১৪ এপ্রিল, এবং তিনি তার শিক্ষা জীবন শুরু করেন হরিহরনগরের একটি ছোট্ট স্কুল থেকে। তার মা-বাবা মোঃ রুবেল শেখ ও রহিমা বেগম তাদের একমাত্র সন্তানের প্রতি সবসময়ই উচ্চ প্রত্যাশা রেখেছিলেন। তানভীরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শুরু হয় এইচএমএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে, যেখানে তিনি এসএসসি পরীক্ষায় উজ্জ্বল ফলাফল অর্জন করে জিপিএ-৫ পান। এরপর তিনি আর কে বি কে হরিশ্চন্দ্র কলেজে এইচএসসি পরীক্ষাতেও জিপিএ-৫ অর্জন করেন।
তানভীরের উচ্চশিক্ষার জন্য পছন্দের প্রতিষ্ঠান ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে সমাজকর্ম বিভাগে ভর্তি হয়ে তিনি বিশেষ কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন, যেখানে তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। তার এ সাফল্য তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগের পথে সহায়তা করে।
গত ১১ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪১তম সিন্ডিকেট সভায় তানভীরকে প্রভাষক পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তার মেধার পরিচয় এর আগেও পাওয়া গিয়েছিল, যখন তিনি সমাজসেবা অধিদফতর এবং বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি) স্কুল এন্ড কলেজে প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তানভীরের এই সাফল্যে তার গ্রামের মানুষ অত্যন্ত উচ্ছ্বাসিত। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে নিয়ে গর্বিত এবং তার সাফল্যকে উদযাপন করছেন। তার এই অর্জন প্রমাণ করে যে, প্রতিভা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুণরাও বড় সাফল্য অর্জন করতে পারে।
তানভীরের এই সাফল্য শুধু তার পরিবারের জন্য নয়, বরং তার পুরো এলাকার জন্যও অনুপ্রেরণা। তার এই সাফল্য অনেক তরুণের জন্য পথপ্রদর্শক হতে পারে এবং তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারে। তানভীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার পরিবার এবং এলাকাবাসী অত্যন্ত আশাবাদী, এবং তারা বিশ্বাস করেন যে তিনি সমাজের উন্নয়নে আরও অনেক অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।