ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লির উচ্চ আদালত। আদালত জানিয়েছে, নেতাদের ডিগ্রির তথ্য প্রকাশ ‘জনস্বার্থের’ বিষয় নয় এবং এটি তাদের ব্যক্তিগত তথ্য। এই রায় ভারতের তথ্য অধিকার আইনের (আরটিআই) ওপর একটি বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
আদালতের এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এলো, যখন দেশজুড়ে নিট (NEET), এসএসসি (SSC) এবং অন্যান্য বড় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনা ঘটছে। ভিডিও বিশ্লেষণে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যেখানে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এত প্রশ্ন, সেখানে রাষ্ট্রপ্রধানদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কেন জনস্বার্থের বিষয় হবে না? অভিযোগ উঠেছে, সরকার শিক্ষাব্যবস্থার মূল সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে পাঠ্যপুস্তক থেকে মুঘলদের ইতিহাস সরিয়ে দেওয়া এবং ধর্মীয় বিভাজনের মতো অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোকে সামনে এনে জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক নেতারা যখন নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে স্বচ্ছতা দেখাতে ব্যর্থ হন, তখন তারা নৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এর ফলে বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং শিক্ষাব্যবস্থার মানের মতো জরুরি বিষয়গুলো আলোচনা থেকে হারিয়ে যায় এবং তার পরিবর্তে আবেগনির্ভর ও বিভেদের রাজনীতি প্রাধান্য পায়।