ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখায় বার্সেলোনা। অষ্টম মিনিটেই লামিনে ইয়ামালের শট পোস্টে লেগে ফিরলে তা থেকে গোল করেন রবার্ট লেভানদোভস্কি। এরপর যেন গোলের ধারা বইতে থাকে।
চতুর্দশ মিনিটে দুর্দান্ত দূরপাল্লার শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইয়ামাল। যদিও ২৬ মিনিটে ইয়াং-উক চোর এবং প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ইয়াহান আল-আরাবের গোলে সমতায় ফেরে সিউল। কিন্তু বিরতির আগে দানি ওলমোর পাস থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে আবার এগিয়ে দেন ইয়ামাল—ম্যাচে তার দ্বিতীয়।
দ্বিতীয়ার্ধে বার্সা ছিল আরও বিধ্বংসী।
৫৫ মিনিটে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন, ৭৪ ও ৮৮ মিনিটে ফেররান তরেস এবং ৭৬ মিনিটে গাভি গোল করে স্কোরলাইন পৌঁছে দেন ৭-২ তে। মাঝখানে ৮৫ মিনিটে একটি গোল শোধ করে সিউল, তবে বড় ব্যবধান আর কমাতে পারেনি।
বার্সার পাসিং ও বল দখলে ছিল সম্পূর্ণ দাপট। ম্যাচজুড়ে তারা ৭৩ শতাংশ সময় বলের দখল রাখে এবং ১৯টি শট নেয়, যার মধ্যে ১৩টি লক্ষ্যে। সিউলের ৯ শটের মাত্র ৪টিই ছিল বার্সা গোলরক্ষককে পরীক্ষা নেওয়ার মতো।
এই ম্যাচের মাধ্যমে এশিয়া সফরের এক ধাপ শেষ করল বার্সেলোনা। সফরের শেষ ম্যাচে তারা সোমবার মুখোমুখি হবে দক্ষিণ কোরিয়ার আরেক ক্লাব দেগু এফসির।