লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক গোলাম আজমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পথরোধ করে হত্যার হুমকি দিয়ে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে আটক করা হয়। একই মামলার চার নম্বর আসামি শাহাদত হোসেন মারুফকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে গ্রেপ্তার দুইজনকে পুলিশ প্রহরায় আদালতে হাজির করা হয়।
থানা-পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রথম আসামি মামুন হোসেন স্থানীয় মধ্যবাজারের ইশা জুয়েলার্সের মালিক ইয়াছিন আলীর কাছ থেকে প্রায় ২০-২৫ দিন আগে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করান। এ সময় কিছু টাকা বকেয়া রাখেন তিনি। সেই বকেয়া টাকা নিতে গত ১২ আগস্ট রাতে ইয়াছিন আলী তাঁর বন্ধু শুভ জুয়েলার্সের মালিক শুভ শর্মাকে নিয়ে মামুনের বাড়িতে যান। টাকা নিয়ে ফেরার পথে বৃষ্টিতে আটকা পড়লে রিকশাযোগে ফেরার সময় রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় তাদের পথরোধ করে আসামি শাহাদত হোসেন মারুফ ও সাগর হোসেন। পরিস্থিতি দেখে ইয়াছিন আলী পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও শুভ শর্মাকে মারধর করা হয়।
এ সময় শুভর মোবাইল ফোন ও দোকানের চাবি ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে মামুন ফোন ও চাবি ফেরত দিলেও মামলা না করার হুমকি দেয়। কিন্তু কয়েকদিন পর শুভ ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন, তাঁর রূপালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২ লাখ টাকার বেশি তুলে নেয়া হয়েছে।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, শুভর মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ওই টাকা অন্য দুইটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। তদন্তে জানা যায়, স্থানান্তরিত অর্থের ভাগ পেয়েছেন মামলার আসামি জায়েদ বিন সাবিত, মতিউর রহমান ও গোলাম আজম।
এ ঘটনায় শুভ শর্মা বাদী হয়ে গত ২২ আগস্ট ভোর রাতে পাটগ্রাম থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “পথরোধ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোবাইল ও দোকানের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”