ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে এ সিরিজের সবকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ আগস্ট (গতকাল বাংলাদেশ সময়) সন্ধ্যা ৭:৩০-এ (পূর্বের মতোই) শুরু হয় ম্যাচটি। টসে জয়লাভ করে সফরকারীরা স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়।
ওঃ ইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করতে এসে দলীয় ৫৭ রানের মাথায় ২য় উইকেট হারায়। আউট হন ওপেনার এভিন লুইস ৩৭ রান করে। তারপর ক্রিজে আসেন দলনায়ক এবং উইকেটকিপার শাই হোপ। তিনি ৯৪ বল খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১২০ রানে। তার অনবদ্য ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০টি বাউন্ডারি এবং ৫টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে। এছাড়া শেষদিকে জাস্টিন গ্রিভসের ব্যাট থেকে আসে দ্রুত ২৪ বলে ৪৩* রান ৪টি চার ও ২টি ছয় সহ। আর রোস্টন চেজ করেন ৩৬ রান। স্বাগতিকদের ইনিংস শেষ হয় নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৯৪/৬ রানে। পাকিস্তানের লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ ৩৪ রানে ২টি এবং পেসার নাসিম শাহ্ ২টি উইকেট পান ৭২ রান খরচ করে।
২৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী দল দলীয় ৮ রানের মধ্যেই হারায় ৩ উইকেট। শুরুর ধাক্কা আর কাটানো সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার স্বাক্ষর রেখে তারা ২৯.২ ওভারে মাত্র ৯২ রান করতেই সবকটি উইকেট হারায় এবং ২০২ রানের বড় ধরণের পরাজয় মানতে বাধ্য হয়। পাকিস্তানের সালমান আলী আগা সর্বোচ্চ ৩০ (৪৯) এবং মোহাম্মদ নাওয়াজ ২৩* (২৮) রান করতে সক্ষম হন। ওঃ ইন্ডিজের হয়ে মূলত পেসার জেইডেন সিলস্ একাই পাকিস্তানি ব্যাটিং অর্ডারকে ধসিয়ে দেন। তার বোলিং বিশ্লেষণ ছিল এরকম ৭.২-০-১৮-৬! এছাড়া বাঁহাতি অর্থোডক্স গুদাকেশ মোতি নেন ২ উইকেট ৩৭ রান দিয়ে।
৩ ম্যাচের সিরিজ স্বাগতিকরা বেশ সহজেই ২-১ এ নিজেদের করে নেয়। এ ম্যাচের সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হন অধিনায়ক শাই হোপ তার ১২০* রানের দ্বায়িত্বশীল, একইসাথে মারমুখী ইনিংসের জন্য। আর "ম্যান অব দ্য সিরিজ" মনোনীত হন ডানহাতি মিডিয়াম পেসার জেইডেন সিলস্। তিনি ৩ ম্যাচে মোট ২৪.২ ওভার বল করে (৩টি মেডেন সহ) মাত্র ১০০ রানের বিনিময়ে ১০ টি উইকেট দখল করেন।
[তথ্যঃ গুগল এবং ক্রিকবাজ।]