বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পর, ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি আবারও রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ফোরামে এই দাবি নতুন করে জোরালো হয়েছে। আলোচকরা বলছেন, পাকিস্তান তাদের পাঠ্যপুস্তকে এখনও বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের 'বিশ্বাসঘাতক' হিসেবে উপস্থাপন করে, যা ইতিহাসের এক নির্লজ্জ বিকৃতি।
আলোচনায় আরও উঠে আসে যে, শুধু ক্ষমা প্রার্থনাই নয়, ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং আটকে পড়া পাকিস্তানিদের বিষয়েও একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। তবে এর বিপরীতে একটি ভিন্ন মতও প্রবল হচ্ছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, অতীতের dolor আঁকড়ে ধরে না থেকে বাংলাদেশের উচিত বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেওয়া।
অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে। মানব উন্নয়ন, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং গড় আয়ু—সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তা সত্ত্বেও, তুলা, পেঁয়াজ, চিনি এবং সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতির মতো প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য পাকিস্তানের ওপর বাংলাদেশের একটি বাণিজ্যিক নির্ভরশীলতা রয়েছে।