close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

**অভিযান কাজে আসে না!

MOHAMMAD JAMSHED ALAM avatar   
MOHAMMAD JAMSHED ALAM
সীতাকুণ্ডে জরিমানার পরও পুরনো নিয়মেই চলছে ‘মস্কো বের্কাস’**


মোহাম্মদ জামশেদ আলম, 
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি :

সীতাকুণ্ডে ভেজালবিরোধী অভিযানে জরিমানার মুখে পড়েছে দুটি খাদ্যপন‌্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠান। তবে জরিমানার পরও পুরনো নিয়মেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ‘মস্কো বের্কাস’। লাইসেন্সবিহীন, নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হলেও বন্ধ হয়নি তাদের কার্যক্রম।

গত ১৬ জুন সীতাকুণ্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য রাখার দায়ে ‘মস্কো বের্কাস’ এবং ‘রাজবাড়ী রেস্তোরা’কে জরিমানা করা হয়। কিন্তু ‘মস্কো বের্কাস’-এর পণ্য জব্দ না করায় প্রতিষ্ঠানটি জরিমানা দিয়েই আগের নিয়মে উৎপাদন ও বিপণন চালিয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, ‘মস্কো বের্কাস’ নামে প্রতিষ্ঠানটির বিসিক কিংবা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটে (BSTI) কোনো নিবন্ধন নেই। অথচ প্রতিষ্ঠানটি ‘মস্কো বের্কাস’ নামের ব্র্যান্ডে বিস্কুট, কেক, মিষ্টি, দই, মাঠা, রসমালাই, পাউরুটি ও ফাস্টফুডসহ প্রায় ২০ প্রকার খাদ্যপণ্য বাজারজাত করছে।

আড়ম্বরপূর্ণ শোরুম সাজিয়ে উচ্চমূল্যে ফাস্টফুড বিক্রির পাশাপাশি ব্র্যান্ডের নামে ক্রেতাদের প্রতারণা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসব ভয়াবহ অনিয়ম ও প্রতারণার চিত্র উঠে আসে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “টাকমি ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড” নামে একটি লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান ‘মস্কো বের্কাস’ নামে ব্র্যান্ড তৈরি করে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। তাদের লাইসেন্স থাকলেও, অনুমোদন না নিয়েই ২০টির বেশি পণ্য মোড়কজাত করছে, যা একাধিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

তিনি আরও বলেন, ফ্রিজে মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পণ্য সংরক্ষণ করে বিক্রির প্রমাণও পাওয়া গেছে। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বিএসটিআই পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান জানান, ‘মস্কো বের্কাস’ নামে কোনো ব্র্যান্ডের নিবন্ধন নেই। তবে ‘টাকমি ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড’-এর তিনটি বেকারি পণ্যের অনুমোদন রয়েছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে মস্কো নামে ব্র্যান্ড গড়ে তোলার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকার পরও, এখনও তারা নির্বিঘ্নে সারা দেশে অন্তত ২০টি শোরুমে পণ্য বিক্রি করছে। কোটি টাকার এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততা প্রশ্নবিদ্ধ।

Nema komentara