close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাঞ্ছনা: সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান এখনও অধরা..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঞ্ছিত করার পরও অভিযুক্ত ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান এখনও গ্রেফতার হননি..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান এখনও অধরা রয়েছেন। গত ২৩ জুলাই রাতে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সূত্র ধরে এই ঘটনা ঘটে। জিল্লুর রহমান, যিনি 'মা মোটরস' নামে একটি ব্যবসার মালিক এবং জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

ঘটনাটি ঘটে সাতক্ষীরা শহরের নিউ মার্কেট এলাকায়। জিল্লুর রহমান একটি প্রাইভেট কারে করে সেখানে পৌঁছালে ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের মোটরসাইকেলের সঙ্গে তার গাড়ির ধাক্কা লাগে। এই ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে জিল্লুর রহমান ম্যাজিস্ট্রেটকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করেন এবং তাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এই ঘটনার পর জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রশাসন একটি অভিযান চালায়, কিন্তু তার সন্ধান মেলেনি। তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে এবং তার অবস্থান সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগ উঠেছে যে, জিল্লুর রহমান তার অর্থ এবং প্রভাব ব্যবহার করে আইনের চোখে ধুলো দিতে চেষ্টা করছেন।

জিল্লুর রহমানের উত্থানের গল্পটিও কম চাঞ্চল্যকর নয়। বরিশালে জন্মগ্রহণকারী জিল্লুর সাতক্ষীরায় এসে একটি চায়ের দোকান দিয়ে শুরু করেন। মাদক ব্যবসা এবং প্রতারণার অভিযোগে তার নাম জড়িত থাকলেও তিনি একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং রাজনৈতিক সংযোগ ব্যবহার করে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করছেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জানান, জিল্লুর রহমানের গতিবিধির উপর প্রশাসন নজর রাখছে এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তবে, এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি।

সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে, এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে প্রশাসনের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। জিল্লুর রহমানের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে বিলম্ব হলে তা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

Inga kommentarer hittades