নেত্রকোনার পূর্বধলায় কাকন আহমেদ হত্যার বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন সংগঠনের সক্রিয় অংশগ্রহণে পালিত হয়। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের দাপুনিয়া বাজারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
কাকন আহমেদ গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশনে পি-ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুর রহমানের ছেলে। তার হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মো. মাসুদ কবীর মামুন, আলীপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রহিম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সালমান রহমান পল্লব, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল আলম, উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ার হোসেন সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাকসুদুল হাসান রাতুলসহ অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, কাকন হত্যার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ১৫ আসামির মধ্যে মাত্র একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বাকিরা পালিয়ে থাকার চেষ্টা করছে এবং কাকনের পরিবার হুমকির মুখে রয়েছে। কাকন মৃত্যুর আগে হামলাকারীদের নাম-পরিচয় জানিয়েছিলেন, যা পূর্বধলা থানায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখিত আছে।
এ ঘটনার মূল প্রেক্ষাপট হল গত ৫ আগস্ট রাত আনুমানিক একটার দিকে কাকন দাপুনিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কেলন মিয়ার বাড়ির পাশে সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বক্তারা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কাকনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। এছাড়াও, এলাকাবাসী কাকনের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ধরনের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কেবল বিচার প্রক্রিয়ার গতি ত্বরান্বিত করার জন্য নয়, বরং সমাজে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্যও প্রয়োজনীয়। এটি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং প্রশাসনের দায়িত্ব পালনে জোর দেয়।