close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

‎নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জমির মালিকানা দাবি করে বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট..

GK Shohag avatar   
GK Shohag
জিকে সোহাগ, স্টাফ রিপোর্টার।

 

‎নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পশ্চিম কদমতলী এলাকায়, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মী পরিচয়ের সাধারণ মানুষের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীদের দাবি তারা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদের লোক। এঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

‎সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় , বুধবার সকাল ১০টার দিকে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি পাগলাবাড়ি এলাকার কথিত বিএনপি নেতা ইলিয়াস ও জয়নালের নেতৃত্বে ৭০-৮০ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, রামদা ও চাপাতি নিয়ে, জমির মালিকানা দাবি করে বিভিন্ন বাড়িঘরে হামলা করে, এক ভুক্তভোগীর জমির সীমানা প্রাচীন ভাঙচুর করে এবং দখল করার উদ্দেশ্যে কয়েকটি  সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেয়। এসময় বাড়িওয়ালারা তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা ভুক্তভোগীদের উপর হামলা, নারীদের শ্লীলতাহানি, স্বর্ণালংকার লুট ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় ঘটনাস্থলের সামনে স্থাপিত আল জাকির মাদ্রাসার সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙ্গচুর করা হয়। যেখানে ধরা পরেছিল অভিযুক্তদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কিছু চিত্র। 

‎স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের আমতলা পূর্ব কলাবাগ এলাকার মৃত মৈজদ্দিন মিয়ার ছেলে  মোঃ জয়নাল আবেদীন ও ওয়াকিল গং, সিদ্ধিরগঞ্জ মৌজার সিএস ও এসএ ২৫৯৪ দাগে ৮৮ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে, প্রায় পঁচিশ থেকে ছাব্বিশটি বাড়িতে হামলা করে। এসময় শতেক লোকের একটি সন্ত্রাসী দল স্থানীয় বাড়িওয়ালা পারুল বেগমের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, দুইটি মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় তারা পারুল বেগমের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে তার পরনের জামা ছিঁড়ে ফেলে। পরে স্থানীয়দের চাপে মোবাইলগুলো ফেরত দিলেও লুট হওয়া স্বর্ণের চেইনটিএখনো পাননি বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পারুল বেগম। 


‎এবিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হামলা, লুটপাট ও   নারী নির্যাতনের অভিযোগ তোলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগকারী খাদিজা ও আসমা আক্তার জানান, তাদের সম্পদের ক্ষতি সাধন কালে তারা বাঁধা দিতে গেলে, ১৫-২০ জন যুবক তাদের উপর হামলা করে এবং তাদের গলাচিপে ধরে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় তাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। 


‎এছাড়াও ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সময় থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী আকলিমা আক্তার ডলি, অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মাহবুব তাত্ক্ষণিক সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। 

‎এদিকে ভুক্তভোগী সাবেক পুলিশ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আক্ষেপ নিয়ে বলেন, আমি ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে আমাদের উপর হামলার বিষয়ে জানিয়ে সাহায্য চাইলেও আমাদের সাহায্যে এখন পর্যন্ত কোন পুলিশ সদস্য আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে এখন থানায় এসে অভিযোগ দিলাম।

‎এবিষয়ে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার আংশিক সত্যতা স্বীকার করে জানান, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে ভুক্তভোগী বাড়িওয়ালাদের বাকবিতন্ডা হয়েছে এবং অভিযোগকারীর একটি  দোকানের তালা খুলেছিল বসার জন্য, পরে এসআই মাহবুবের নেতৃত্বেই সেই তালা পুনরায় ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া নারূ নির্যাতন, স্বর্ণালংকার লুট, ও সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙ্গচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

‎অভিযুক্তদের দাবীর বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, "অভিযুক্তদের কেউ বিএনপির নেতাকর্মী বা অনুসারী নয়। এসকল অপরাধীদের বিএনপি কখনোই আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও এদেরকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।




‎এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ শাহীনুর আলম কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, "ভুক্তভোগীগণ থানায় অভিযোগ করেছেন। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাস্ত করা হবে না।

Keine Kommentare gefunden