নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আলোচিত রায়হান হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে আড়াইহাজার উপজেলার বেপারি বাড়ি বায়তুল নুর জামে মসজিদ পাশের একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বরুনা পুবেরটেক এলাকার মৃত ইয়ানুছের ছেলে তাইজুল, তার স্ত্রী রাহিমা ও মেয়ে তাইরিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, র্যাব ১১ এর কোম্পানি কমান্ডার, স্কোয়াড্রন লিডার মো. ইশতিয়াক হোসাইন।
তিনি জানান, আসামি ৩ জন একই পরিবারের সদস্য।
ঘটনার পর থেকে তাইজুল তার স্ত্রী রাহিমা, মেয়ে তাইরিন পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি পলাতক আসামিরা আড়াইহাজার উপজেলার বেপারি বাড়ি বায়তুল নুর জামে মসজিদ পাশের একটি বাড়িতে অবস্থান করছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, রূপগঞ্জ থানার বরুনা গ্রামের মনোয়ার আলীর ছেলে রায়হান দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে একই এলাকার ইয়ানুছের ছেলে তাইজুলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে তাইজুল তার প্রয়োজনের কথা বলে রায়হানের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার নেন।
পরবর্তীতে রায়হান বিদেশ থেকে ফিরে টাকার জন্য চাপ দিলে তাইজুল তা ফেরত না দিয়ে নানা তালবাহানা করতে থাকে। গত ২৪ মার্চ বিকেল ৫টায় তাইজুল ফোনে ডেকে রায়হানকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে কোনো এক সময় তাইজুল, তার স্ত্রী ও কন্যার সহায়তায় নিজ বাড়ির দোতলা ভবনে রায়হানকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
ঘটনার পর রূপগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। পরে নিহত রায়হানের পিতা আদালতে একটি নালিশি মামলা দায়ের করলে আদালতের আদেশক্রমে ২২ এপ্রিল রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
  
    close
  
  
         
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
No se encontraron comentarios
							
		
				
			


















