নাগরপুর (টাঙ্গাইল), ৭ জুলাই ২০২৫:
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের বেটুয়াজানি গ্রামে বিষধর গোখরো সাপের দংশনের শিকার হয়েও প্রাণে বেঁচে গেছেন মোছা: আনোয়ারা (৬০), স্বামী শুকুর আলী।
গত ৪ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যার সময় নিজ বাড়িতে কাজ করার সময় হঠাৎ একটি বিষধর গোখরো সাপ তাকে দংশন করে। পরিবারের লোকজন সঙ্গে সঙ্গে সাপটিকে মেরে ফেলতে সক্ষম হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই আনোয়ারার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তখন দ্রুত তাকে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডাঃ কাজল পোদ্দার ও তার টিম সাপের ছবি দেখে নিশ্চিত হন যে এটি গোখরো প্রজাতির বিষধর সাপ। রোগীর শরীরে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বুঝতে পেরে তারা পরিবার থেকে অনুমতি নিয়ে সীমিত সরঞ্জাম ও সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও সঙ্গে সঙ্গে এন্টিভেনম প্রয়োগ শুরু করেন।
মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং চিকিৎসকদের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থাপনায় রোগীর অবস্থার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। আজ ৭ জুলাই আনোয়ারা অনেকটাই সুস্থ এবং শঙ্কামুক্ত অবস্থায় আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, “এটি আমাদের চিকিৎসা টিমের সম্মিলিত সাফল্য। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবে বর্তমানে হাসপাতালে এন্টিভেনমের সরবরাহ খুবই সীমিত। আমরা চেষ্টা করছি সরবরাহ বাড়ানোর জন্য।”
তিনি আরও বলেন, “নাগরপুরের সাধারণ মানুষকে সর্পদংশনের ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত হাসপাতালে আসলে অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। মানুষের জীবন অমূল্য—এবং নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বদা মানুষের পাশে থাকবে।”