শিরোনাম:
👉 মধুপুরে একই জমিতে আনারস ও পেঁপে চাষে দ্বিগুণ ফলন, বদলে যাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য
রিপোর্ট:
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা এখন আনারসের জন্য সারা দেশে পরিচিত। তবে এবার নতুন চমক দেখাচ্ছেন এখানকার কৃষকরা। একই জমিতে আনারস ও পেঁপে একসাথে চাষ করে তারা পাচ্ছেন দ্বিগুণ ফলন ও বাড়তি লাভ।
স্থানীয় কৃষকদের ভাষ্য, আনারস গাছ মাটির নিচে বিস্তৃত হয়ে চারা জন্মায় এবং ছায়া তৈরি করে। অন্যদিকে পেঁপে গাছ লম্বা হয়ে ওপরে উঠে যায়। ফলে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার হচ্ছে। একদিকে আনারস, অন্যদিকে পেঁপে—দুই ফসলের মিলিত চাষে এক বিঘা জমিতে এখন প্রায় দ্বিগুণ আয়ের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
মধুপুরের গোপালপুর ইউনিয়নের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন—
“আগে শুধু আনারস করতাম। এখন আনারসের ফাঁকে পেঁপে লাগাই। দুই ফসলই হচ্ছে, খরচও কম পড়ছে। বাজারে ভালো দাম মিলছে।”
কৃষি কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, এ পদ্ধতিতে একদিকে জমি খালি থাকে না, অন্যদিকে বাগানের ভেতরে আর্দ্রতা ও বাষ্প জমে থেকে ফসলের উৎপাদন বাড়ায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মধুপুর ইতিমধ্যেই কয়েকশ কৃষককে এভাবে আনারস-পেঁপে মিলিত চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে।
বর্তমানে মধুপুরের বিভিন্ন হাটে আনারস ও পেঁপে একসাথে বিক্রি হচ্ছে। পাইকাররা বলছেন, “একই এলাকায় দুই ফলের যোগান পাওয়া যায় বলে পরিবহন খরচ কমছে এবং চাষিদের কাছ থেকেও সরাসরি নেওয়া সহজ হচ্ছে।”
কৃষি বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী কয়েক বছরে মধুপুর অঞ্চল বাংলাদেশে আনারসের পাশাপাশি পেঁপেরও বড় সরবরাহকারী এলাকায় পরিণত হবে।
উপসংহার:
একই জমিতে আনারস ও পেঁপে চাষ এখন মধুপুরে কৃষি বিপ্লবের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই দ্বিগুণ ফলনের সাফল্যে কৃষকের আয় যেমন বাড়ছে, তেমনি দেশের ফলের বাজারও হচ্ছে সমৃদ্ধ।