close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

মামলা থেকে বাঁচতে ভূয়া আপোষনামার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

Al amin Shadin avatar   
Al amin Shadin
****

 

 

আল আমিন স্বাধীন 

মান্দা (নওগাঁ ) প্রতিনিধি :

 

নওগাঁর মান্দায় দলিল জালিয়াতির একটি মামলায় আসামিপক্ষ আদালতে ভূয়া আপোষনামা দাখিল করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। ওই ভূয়া আপোষনামায় আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। এতে মামলার সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাদী।

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে মান্দা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তোলেন উপজেলার দক্ষিণ নুরুল্লাবাদ গ্রামের মোশারফ হোসেন।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী ফয়েজ উদ্দিন মণ্ডলের ওয়ারিশরা ১৯৭৮ সালের একটি কবলা দলিলের ভিত্তিতে তার বসতভিটার ১০ শতক জমির দাবি করলে বিরোধ শুরু হয়। দলিলটি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তিনি নওগাঁর আমলী আদালতে প্রতিপক্ষের আব্দুল গফুর, মামুনুর রশীদ, রেজাউল ইসলাম রাজ্জাকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেন।

আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নওগাঁ সিআইডিকে নির্দেশ দেন। গত ১৩ মে সংস্থাটি আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে দলিলটিকে জাল হিসেবে উল্লেখ করে। তদন্ত প্রতিবেদনে দাতা ও গ্রহীতার নাম, পরিচয় ও ঠিকানার মধ্যে কোনো মিল পাওয়া যায়নি বলেও উল্লেখ করা হয়।

এরই মধ্যে ৯ আগস্ট একপক্ষীয়ভাবে একটি আপোষনামা আদালতে দাখিল করে জামিন নিয়েছেন অভিযুক্তরা। মোশারফ হোসেনের অভিযোগ, এই আপোষনামায় শুধুমাত্র আসামিপক্ষের স্বাক্ষর রয়েছে। বিষয়টি তাকে অবহিত করা হয়নি।

ওই আপোষনামায় সাক্ষর করেছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এদের মধ্যে রয়েছেন ইউপি সদস্য আহসান হাবীব আছের ও আশরাফুল ইসলাম, জোতবাজার আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ ভুট্টুসহ আরও কয়েকজন মাতবর।

এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলামের ফোন নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেন বলেন, ‘একতরফা আপোষনামা দিয়ে আসামিপক্ষ মামলা থেকে পার পেতে চায়। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’#

No comments found