ছাবির খাঁন, সিলেট :
মাহফুজা খানম একজন শিক্ষিকা, লেখক ও কবি—তিনটি পরিচয়েই তিনি সমানভাবে সমৃদ্ধ। জীবনের প্রথম ধাপেই তিনি শিক্ষা পেশাকে বেছে নেন। ছাত্র-ছাত্রীদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার শ্রেণিকক্ষে কেবল পাঠ্যপুস্তক নয়, মানবিকতা, নৈতিকতা ও জীবনের বাস্তব শিক্ষা তুলে ধরেন। ফলে তার ছাত্র-ছাত্রীরা তাকে কেবল শিক্ষক হিসেবেই নয়, জীবনের পথপ্রদর্শক হিসেবেও দেখে।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি লেখালেখির জগতে নিজের স্বতন্ত্র অবস্থান গড়ে তুলেছেন। সামাজিক বাস্তবতা, মানবিক সংকট, গ্রামীণ জীবনের সুখ-দুঃখ, নারী-পুরুষের সম্পর্ক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা—এসব বিষয় তার লেখায় বারবার উঠে এসেছে। তার রচনাশৈলী সহজ, সাবলীল ও হৃদয়স্পর্শী। পাঠক তার লেখা পড়লে জীবনের এক টুকরো বাস্তবতা যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
কবিতা মাহফুজা খানমের সৃজনশীলতার আরেকটি দিক। তার কবিতায় মাটি, মানুষ, প্রেম, প্রকৃতি ও সময়ের অনন্ত ধ্বনি প্রতিফলিত হয়। কখনো তিনি নারীর সংগ্রামের কথা বলেন, কখনো প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় ডুবে যান। আবার কখনো তিনি সময়ের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কলম ধরেন। তার কবিতার ভাষা একদিকে আবেগঘন, অন্যদিকে প্রতিবাদী।
তিনি একজন নারী লেখক হয়েও কেবল নারীর সীমাবদ্ধ পরিসরে আটকে থাকেননি, বরং সামগ্রিক মানবজীবনের নানা দিককে তার লেখার উপজীব্য করেছেন। এজন্যই তিনি পাঠকের কাছে একজন শিক্ষিকা, লেখক ও কবির সমন্বিত পরিচয়ে অনন্য হয়ে উঠেছেন।
সংক্ষেপে বলা যায়, মাহফুজা খানম কেবল একজন শিক্ষিকা নন; তিনি জ্ঞান, সাহিত্য ও কবিতার মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।