close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

মাদকনির্ভরশীল চিকিৎসায় কাউন্সেলিং: পুনর্বাসনের নতুন দিগন্ত..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
মাদকনির্ভরশীল ব্যক্তিদের চিকিৎসায় কাউন্সেলিংয়ের গুরুত্ব ও প্রভাব নিয়ে ডা. মোঃ সেলিম চৌধুরীর বিশ্লেষণ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

মাদকনির্ভরশীল ব্যক্তিদের চিকিৎসায় কাউন্সেলিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন অটিজম ও নিউরোডেভোলপমেন্টাল প্রতিবন্ধিকতা বিষয়ক জাতীয় একাডেমির কাউন্সেলিং মনোবিজ্ঞানী ডা. মোঃ সেলিম চৌধুরী। সোমবার (২৮ জুলাই '২৫) রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসারত ক্লায়েন্টের অভিভাবকদের সমন্বয়ে আয়োজিত এক পারিবারিক সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

ডা. চৌধুরী বলেন, 'কথার মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান বা টকিং থেরাপি হচ্ছে কাউন্সেলিং। এর মাধ্যমে সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তি একটি নিরাপদ এবং গোপনীয় পরিবেশে তার সমস্যার কথা কাউন্সেলরের কাছে বলে এবং আলোচনার মাধ্যমে নিজেই তার সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতা অর্জন করে।' মাদকনির্ভরশীলদের চিকিৎসা গ্রহণে সিদ্ধান্ত নিতে ও মানসিক সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য ধারাবাহিক কাউন্সেলিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সভায় এবারের বিষয়বস্তু ছিলো, ‘মাদকনির্ভরশীল চিকিৎসায় কাউন্সেলিং এর গুরুত্ব’। মাদকদ্রব্যের আগ্রাসন যেন ধীরে ধীরে গ্রাস করে ফেলেছে পুরো যুব সমাজকে। হতাশা, অস্থিরতা, কষ্ট, ঘৃণা, ক্ষোভ সবকিছু হতে মুক্তির একমাত্র উপায় হিসাবে মাদকগ্রহণকে বেছে নেয় অনেকেই। ব্যক্তির মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ধারাবাহিক কাউন্সেলিং প্রয়োজন এবং এই কাউন্সেলিং শুধুমাত্র মাদকাসক্তির চিকিৎসাকালীন সময়ের জন্য নয়, পরবর্তীকালেও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রয়োজন হতে পারে।

আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, 'এটি ক্লায়েন্টকে আত্মবিশ্বাসী, আত্মনির্ভরশীল ও আত্মনিয়ন্ত্রিত করে তোলে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে ও সমস্যার সাথে যথোপযুক্ত খাপ খাইয়ে কার্যকরভাবে জীবনযাপন করতে সক্ষম করে তোলে।' তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাউন্সেলিং একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাদকনির্ভরশীলতার সমস্যাটি শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত সমস্যা নয়, বরং এটি একটি সামাজিক সমস্যা। মাদকাসক্ত ব্যক্তি শুধু নিজেদের নয়, তাদের পরিবার এবং সমাজের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই মাদকনির্ভরশীলদের সঠিকভাবে পুনর্বাসনের জন্য কাউন্সেলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হতে পারে এবং মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে।

ভবিষ্যতে, এই ধরনের কাউন্সেলিং প্রোগ্রাম আরও বিস্তৃত পরিসরে পরিচালিত হতে পারে এবং এর মাধ্যমে মাদকনির্ভরশীলতার বিরুদ্ধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হবে। এর ফলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখা সম্ভব হবে।

کوئی تبصرہ نہیں ملا