লালমনিরহাট প্রতিনিধি: ফাহিম খাঁন হৃদয়
লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি সফল অভিযানে অনলাইন জুয়া ও অবৈধ নগদ-বিকাশ লেনদেনকারী একটি সংঘবদ্ধ চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে জুয়া পরিচালনায় ব্যবহৃত ১২৫টি সিম কার্ড ও ৬টি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়েছে, যার প্রতিটিতেই জনপ্রিয় জুয়ার অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল ছিল।
🎯 অভিযান ও গ্রেফতার
৩১ মে ২০২৫ ইং, শনিবার বিকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে আদিতমারী থানার কমলাবাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কদমতলা বাজার সংলগ্ন ব্রীজ এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি আভিযানিক দল।
অভিযানে প্রথমে মোঃ ইসমাইল হোসেন রিপন (২০), পিতা মোঃ বজলুর রহমান, মাতা মোছাঃ আরিফা জাহান, সাং-উত্তর গোপাল রায়, থানা-কালীগঞ্জ, জেলা-লালমনিরহাট—কে হাতেনাতে আটক করা হয়। তার মোবাইলে বিভিন্ন অনলাইন জুয়ার অ্যাপস পাওয়া যায় এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও তিনজনকে আটক করা হয়।
👤 আটককৃত অন্যান্য ব্যক্তিরা:
১. মোঃ মাহবুবুর রহমান মাহাবুব (৪০), সাং-চন্দনপাট, থানা-আদিতমারী
২. মোঃ রেজাউল করিম (৩২), সাং-তেতুলিয়া, থানা-কালীগঞ্জ
৩. মোঃ সজিব মিয়া (২২), সাং-গোড়ল নিথক পাড়া, থানা-কালীগঞ্জ
📱 উদ্ধারকৃত আলামত:
৬টি স্মার্টফোন
১২৫টি সিম কার্ড (বেশিরভাগই নগদ ও বিকাশ এজেন্ট হিসেবেই ব্যবহৃত)
ইনস্টলকৃত জুয়ার অ্যাপস: 7DGAME, QQEE.COM, NADAD777, KK23, L89, BK33, PPVIP ইত্যাদি
⚖️ আইনগত ব্যবস্থা:
আটককৃতদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ অনুযায়ী আদিতমারী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। ডিবি সূত্রে জানা গেছে, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে যুবসমাজকে মোবাইলভিত্তিক জুয়ার ফাঁদে ফেলছিল এবং মোবাইলে বিকাশ/নগদের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছিল।
🚨 পুলিশ কী বলছে:
জেলা গোয়েন্দা শাখা জানায়, এ ধরনের অপরাধ শুধু অর্থনৈতিক নয়, সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ ধ্বংস করছে। এই চক্রের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে এবং এর সঙ্গে জড়িত অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
---
📌 সতর্কতা: অভিভাবকদের অনুরোধ করা যাচ্ছে, তারা যেন তাদের সন্তানদের মোবাইল ব্যবহারের প্রতি নজর রাখেন এবং সন্দেহজনক লেনদেন বা আচরণ দেখা গেলে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করেন।
📢 লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখার এ অভিযান জনসচেতনতা ও অনলাইন অপরাধ দমনে এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
---