লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মডেল কলেজে জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সাবেক জামায়াত নেতা হাছেন আলীর বিরুদ্ধে ইউএনও’র স্বাক্ষর স্ক্যান করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞা হাছেন আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) পাঠান। এরপরই তাকে উপজেলা জামায়াতের আমির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন আমির হিসেবে রফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয় স্থানীয় জামায়াত শাখা।
বিষয়টি সামনে আসার পর ওই কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। ৭ আগস্ট বিকেলে তারা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন এবং ইউএনও বরাবর একটি স্মারকলিপিও জমা দেন।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, হাছেন আলী প্রকৃতপক্ষে কলেজের কোনো বৈধ শিক্ষক ছিলেন না, তিনি শুধু নামেমাত্র ‘প্রক্সি শিক্ষক’। তার বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা, পুরাতন শিক্ষক-কর্মচারীদের বাদ দিয়ে স্বজনপ্রীতি, দলীয় প্রভাব খাটানোসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, কলেজটি প্রায় দুই বছর আগে এমপিওভুক্ত হয়। তখন অধ্যক্ষ পদে একাধিক ব্যক্তি দাবি করলে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়। ১৩ মে হাছেন আলী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিলেও কিছুদিন পরই তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ সামনে আসে।
হাতীবান্ধা ইউএনও শামীম মিঞা জানান, “আমার স্বাক্ষর জাল করে ফাইল প্রেরণ করা হয়েছে, যা আমি করিনি। এজন্যই তাকে শোকজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে অভিযুক্ত হাছেন আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।