close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

কুতুবদিয়ায় প্রবাসির জমি দখল করতে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর

Nazrul Islam avatar   
Nazrul Islam
নিজস্ব প্রতিবেদক:

‎কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের মুরালিয়া গ্রামে প্রবাসি তৌহিদুল ইসলামের জমি দখল করতে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।

 জানা যায়, জমি মালিকানা দখল নিয়ে চলমান বিচারাধীন মামলার আদালতের নিষেধ অমান্য করে গতকাল  বুধবার (২০ আগস্ট২০২৫) বিকেলে প্রতিপক্ষ দলবদ্ধ হয়ে বিরোধীয় জমি দখলে নিতে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষ প্রবাসির ঘেরাবেড়া ভাঙচুর করে।বাদীর বাড়িতে পুরুষদের অনুপস্থিতির সুযোগে নারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করে। এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

‎‎মামলার নথি অনুযায়ী ফরিয়াদী পক্ষের দাবি, উক্ত জমি তাদের বৈধ মালিকানাধীন হলেও প্রতিপক্ষ দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। পুলিশ ও আইনজীবীর প্রতিবেদনেও জমি নিয়ে বিরোধ ও উত্তেজনার কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে বাদী পক্ষ বলছে আদালত তাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। তবে রায়ের কপি শীগ্রই হাতে পাবেন বলে জানান বাদি পক্ষ।

‎‎কিন্তু গতকাল বিকেলে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা আইন অমান্য করে হাজী গোলাম সোলতানের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল নেতৃত্বে আনোয়ার হোসেন (পিতা: মাহফুজুল করিম), নিগার সোলতানা সুখী (পিতা: বদরুদ্দোজা), মুক্তার আহমদ (পিতা: হাজী গোলাম সোলতান), হেলাল উদ্দীন (পিতা: মুক্তার আহমদ), সাজেদা বেগম, ছেনোয়ারা বেগম (ছুনু), শওকত আরা, হালিমা বেগম (বুলু), খাদিজা (স্বামী: আলাউদ্দীন), সায়মা (স্বামী: মামুন), জয়নাল আবদীন (পিতা: মুজাফফর আহমদ), শেলি আকতার, সুমি আকতার, জনি (পিতা: জয়নাল আবদীন), বদন (পিতা: আবদুল হামিদ), হাসিনা (স্বামী: বদন)সহ আরও ১০/১২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে হামলায় অংশ নেয় বলে বাদী অভিযোগ করেছেন।

‎‎এসময় তারা ঘেরাবেড়া ভাঙচুর করে এবং বাদীর বাড়ির নারীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যায়।

‎‎এর আগে কুতুবদিয়া থানা পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ফরিয়াদী পক্ষের নামে জমির রেকর্ডভুক্ত মালিকানা থাকলেও বিবাদীপক্ষ নিয়মিতভাবে বিরোধ সৃষ্টি করে আসছে এবং জোরপূর্বক দখল প্রচেষ্টার আশঙ্কা রয়েছে।

‎‎‎এছাড়া মামলার শুনানিতে দাখিলকৃত আইনজীবীর প্রতিবেদনে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে উত্তেজনা প্রত্যক্ষ করার কথা উল্লেখ করা হয়। তার মতে, এ ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে এবং আদালতের দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি।

‎‎স্থানীয়রা বলছেন, জমি দখলকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সংঘাত এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ এবং দখল প্রচেষ্টা রোধে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।

No comments found