কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের নগর মোহাম্মদপুর জিকে খালের সরকারি গাছ কেটে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার বশিরুল আলম সাদবার। স্থানীয়দের অভিযোগ, সোমবার সকালে মেম্বারের লোকজন নগর মোহাম্মদপুর জিকে সাইফন ক্যানালের পাশে থাকা সরকারি বনজ গাছগুলো কাটতে শুরু করেন। কয়েকটি গাছ ইতিমধ্যে ভ্যানে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এর আগেও মেম্বারের বিরুদ্ধে একই খালের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছিল। তখন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ জব্দ করেছিল। কিন্তু সেই ঘটনার পরও তিনি একই কাজকে পুনরায় এগিয়ে এনেছেন।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বশিরুল আলম সাদবার জানান, খালের দুই কিলোমিটার অংশ তিনি ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, এই লিজের উদ্দেশ্য হল ফলজ গাছ লাগানো। তিনি বলেন, “পুরনো বনজ গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে ফলজ গাছের জন্য, যা আমাদের পরিকল্পনার অংশ।” তবে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে তিনি অনিচ্ছুক ছিলেন।
সামাজিক বন বিভাগের কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল আলম বলেন, “এই বাগান আমাদের নয়। তাই আমরা সরাসরি কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারি না। যদি জমির মালিক চাই, তবে তারা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।”
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রশিদুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, খালের এই অংশটি পরিবেশ এবং জলাধার সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গাছ কেটে ফেলার ফলে জলাধারের ইকোসিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তারা আশা করছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ঘটনা পুনরায় প্রমাণ করল, সরকারি সম্পদ রক্ষায় সচেতনতা ও কঠোর মনোভাবের অভাব থাকলে স্থানীয় নেতারা নিজেদের সুবিধার জন্য আইন অমান্য করতে পারছেন।