close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আলোচিত মামুন সম্রাট হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার..

এইচ,এম,এ ভূঁইয়া avatar   
এইচ,এম,এ ভূঁইয়া
২৩টি মামলার আসামি মামুন সম্রাটকে পূর্ব শত্রুতার জেরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসছে অপরাধজগতের গভীর ছায়া।..

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আলোচিত মামুন সম্রাট হত্যা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  
২২ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে, গোয়ালমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ নছরুদ্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে মো. নাঈম হোসেন (৩০) ও মো. রমজান (৩০)–কে আটক করা হয়।

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সামছুল আলম ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুনায়েত চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয় এবং গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

২৫ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মামুন সম্রাটকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।  
নিহতের স্ত্রী হাজেরা বেগম বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত মামুন সম্রাট ছিলেন তিতাস উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামের মোশারফ হোসেন ওরফে মকবুল মেম্বারের ছেলে।  
তিনি গৌরীপুর বাজারের ভুলিরপার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, মাদক সেবন ও বিক্রি, অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং কিশোর গ্যাং পরিচালনাসহ মোট ২৩টি মামলা রয়েছে।  
স্থানীয়ভাবে তিনি “মাদক সম্রাট” ও “সন্ত্রাসী” হিসেবে পরিচিত ছিলেন, যদিও তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আইনি প্রমাণের অভাবে ঝুলে ছিল।

এই হত্যাকাণ্ড ও গ্রেপ্তারের খবরটি ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকাগুলোতে 

জনমনে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রয়েছে দ্বিধা।  
একদিকে, মামুনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তাকে সমাজের চোখে “ভয়ংকর চরিত্র” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।  
অন্যদিকে, হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি নিয়ে উদ্বেগও রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এবং মামলার তদন্ত আরও জোরদার করা হয়েছে।

Nessun commento trovato