কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের একটি মাদ্রাসায় ভুয়া এতিম দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।..

Saif Uddin avatar   
Saif Uddin
অভিযোগ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি মাদ্রাসায় ভুয়া এতিম দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের দক্ষিণ হাজারিপাড়া হাফেজিয়া এতিমখানা ও নূরানী মাদ্রাসার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, মাদ্রাসার সুপার ও সেক্রেটারি হাফেজ বেলাল ভুয়া এতিম ও অতিরিক্ত ছাত্র দেখিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কাছ থেকে সরকারি অর্থ আত্মসাত করেছেন। এই অভিযোগের ফলে প্রকৃত এতিমরা তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মাদ্রাসার তালিকায় ১০২ জন এতিম ছাত্র দেখানো হলেও, সরেজমিনে তদন্তে দেখা গেছে যে অনেক ছাত্রের বাবা জীবিত এবং তারা নিয়মিত বেতন দিয়ে পড়াশোনা করছে। এমনকি কয়েকজন ছাত্র কয়েক বছর আগে মাদ্রাসা ছেড়ে গেলেও তাদের নামে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। সম্প্রতি মাদ্রাসাকে ১০২ জন এতিমের জন্য ১২ লাখ ২৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই ধরনের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা এলাকায় নতুন নয়। এর আগে একই ধরনের অভিযোগ উঠলেও সেগুলোর কোনো কার্যকরী সমাধান হয়নি। মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা না থাকায় এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, "আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছি এবং সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি সহায়তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" এই ধরনের ঘটনা শুধু কুমিল্লায় নয়, সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, যা প্রশাসনের দক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতিমখানা ও মাদ্রাসাগুলোর উপর কঠোর নজরদারি এবং নিয়মিত অডিট করা প্রয়োজন, যাতে এ ধরনের দুর্নীতি বন্ধ করা যায়। এই ধরনের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং এতিমদের প্রতি সহানুভূতি এবং দায়িত্ববোধকে হ্রাস করছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয়।ট্যাগস: কুমিল্লা, দুর্নীতি, শিক্ষা, এতিমখানা, প্রশাসন

No comments found