close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

কুড়িগ্রামে পাট চাষে পানির সংকট: কৃষকদের দুশ্চিন্তা

Md Rafiqul Islam avatar   
Md Rafiqul Islam
কুড়িগ্রামে পাট চাষে পানির সংকট: কৃষকদের দুশ্চিন্তা

পানির অভাবে সোনালী আশ নিয়ে শস্কায় কুড়িগ্রামের কৃষক 


কুড়িগ্রাম জেলার পাট কাটা শুরু হয়েছে ৷ বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। তবে, পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
এদিকে, বিভিন্ন সময়ে দরপতন, ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও পাট ছড়ানোর পানির অভাবে কৃষকরা চাষে এই ফসল চাষে কিছুটা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এ ব্যাপারে সরকারের সুনজর দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার মোট  ১৬হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ-আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো

এবার  গত বছরের চেয়ে  বেশি আবাদ হয়েছে ৷
এদিকে আষাঢ় মাস শেষ হয়ে শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি হয়েছে। গুড়ি গুড়ি থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হলেও দেখা নেই বন্যার এলাকার বেশিরভাগ খাল-বিল শুকনো থাকায় চিন্তিত কৃষকরা। পানির অভাবে পাট পঁচানো নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। পর্যাপ্ত পানি পাওয়া না গেলে পাটের গুণগতমান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের সোনাইকাজি চর অঞ্চল  গ্রামের কৃষক একরামুল বলেন, গত দু'বছর যাবত ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করে জাগ দেওয়ার পানির অভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। তাই এখন পাট চাষ ছেড়ে দিয়ে শাকসবজি ও মরিচের চাষ করতে চাই, এতে পরিশ্রম কম, লাভ বেশি।
ফুলবাড়ি উপজেলার কবিরমামুদ ইউনিয়নের  কৃষক মইনুল ইসলাম জানায়, বর্তমানে একজন দিনমজুরের দৈনিক হাজিরা ৬শ থেকে ৭শ টাকা। এক বিঘা জমির পাট কেটে তা জাগ দিয়ে শুকিয়ে ঘরে তুলতে যে পরিমাণ মজুরি দিতে হয়, তাতে খরচ মিটিয়ে মণপ্রতি পাটের দাম পড়ে ২ হাজার টাকার বেশি। আবার পাট পঁচনের খাল-বিলের মধ্যে প্রায় সবগুলোতেই অধিকাংশ সময় পানি থাকে না। আবার কোনো কোনো খালে মাছ চাষ করায় পানি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় পাট জাগ দেওয়া ও আঁশ ছাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ সমস্য হয়

Aucun commentaire trouvé