কটিয়াদি উপজেলার আচমিতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের অর্থায়নে সততা স্টোরের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা এবং সততার চর্চা প্রসারিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন কটিয়াদি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঈদুল ইসলাম। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'ছোটবেলা থেকেই তোমাদেরকে নৈতিকতা শিখতে হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। সেজন্যই তোমাদের স্কুলে আজ একটি সততা স্টোর উদ্বোধন করা হলো। এখানে পণ্য থাকবে, পণ্যের দামও উল্লেখ থাকবে কিন্তু থাকবে না কোনো দোকানদার। অর্থাৎ, তুমি তোমার পণ্যটি কিনে নিজ দায়িত্বে পণ্যের মূল্য নির্দিষ্ট বক্সে পরিশোধ করবে। এখান থেকেই শুরু হবে তোমাদের সততা ও নৈতিক শিক্ষার চর্চা।'
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম, যিনি ফেকামারা ফাজিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ এবং কটিয়াদি উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন, কটিয়াদি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালেহ উদ্দিন ভূইয়া সবুজ এবং আচমিতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে নুসরাত জাহান নাইফাকে সভাপতি এবং অর্পিতা দে প্রেয়সীকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে ১১ সদস্যের একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সততার চর্চা ও নৈতিক শিক্ষার প্রসারে কাজ করবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের এই 'সততা স্টোর' উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে সততা এবং নৈতিকতার চর্চা বৃদ্ধি করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ এবং স্ব-নিয়ন্ত্রণের চর্চা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আরও উল্লেখ্য, এই ধরনের উদ্যোগ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যে কার্যকরীভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং এগুলো সমাজের বিভিন্ন স্তরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
সততা স্টোরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজ দায়িত্বে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করে সততার অনুশীলন করবে। এতে করে তারা ভবিষ্যতে সৎ ও নৈতিক ব্যক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে। এই প্রকল্পের সফলতার উপর ভিত্তি করে দেশের অন্যান্য স্কুলেও এই উদ্যোগ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।