বিয়ের দাওয়াত থেকে না খেয়েই ফিরে গেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম। পরবর্তীতে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার দৈহারী গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কনের বয়স মাত্র ১৬ বছর। সে গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ বছরই পরিবারের পক্ষ থেকে তার বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ে পড়াতে যাওয়া কাজী মো. ইসহাক আলী বলেন, প্রথমে আমাকে বলা হয় মেয়েটির বয়স ১৮ বছর। কিন্তু পরে নিশ্চিত হই, তার প্রকৃত বয়স ১৬ বছর। তাই আইন অনুযায়ী আমি বিয়ে পড়াইনি। তিনি আরও জানান, ইউএনও সাহেবও বিষয়টি জানার পর খাওয়া-দাওয়া না করেই অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, বিয়ে বাড়িতে উৎসবের পরিবেশ ছিল। ইউএনও সপরিবারে দাওয়াতে এসেছিলেন। কিন্তু কনের বয়স কম শুনে তিনি ফিরে যান। কাজী সাহেবও আর বিয়ে পড়াননি।
ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এক আত্মীয়ের অনুরোধে দাওয়াতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কনের বয়স প্রাপ্তবয়স্ক নয় জেনে আইন ও নৈতিকতার দিক বিবেচনা করে দাওয়াত না খেয়েই ফিরে আসি। পরে জানতে পারি, বিয়েটি আর সম্পন্ন হয়নি।



















