পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রাণকেন্দ্র লালদিঘির পাড়। চারপাশে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সদর থানা। অথচ ঠিক এই এলাকাতেই প্রতিনিয়ত চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। সন্ধ্যা নামার পরপরই বদলে যায় এলাকার চিত্র। ব্যস্ত হয়ে ওঠে কিছু নির্দিষ্ট স্থান যেখানে দল বেঁধে অবস্থান নেন কিছু নারী, তাদের টার্গেট আশেপাশে ঘুরে বেড়ানো সম্ভাব্য ‘গ্রাহক’।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। লালদিঘির পাড়ে অবস্থিত আবাসিক হোটেলের আড়ালেও চলে দেহ ব্যবসা। কয়েকটি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোটেলের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠলেও রহস্যজনক কারণে অভিযান পরিচালিত হয়নি বলে অভিযোগ।
স্থানীয় এক চা দোকানদার জানান,‘প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ৫-৬ জন করে মেয়ে এসে দাঁড়ায়। আশেপাশের লোক সবাই জানে, কিন্তু কেউ কিছু বলে না। মাঝে মাঝে পুলিশের গাড়ি আসে, কিন্তু কেউ ধরা পড়ে না।’
এক শিক্ষার্থী বলেন,‘আমরা প্রতিদিনই যাওয়া আসার সময় এই দৃশ্য দেখতে বাধ্য হই। এটি আমাদের জন্য বিব্রতকর, বিশেষ করে যখন পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে থাকেন।’
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইলিয়াস খান আইনিউজ বিডি'কে জানান, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম। আপনাদের মাধ্যমে যেহেতু অভিযোগ পেলাম এখন আমি আমার মোবাইল টিমকে বলে দেব। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলে আশা করি শহরের মধ্যে আর এমন অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে পারবে না।’
এই অবস্থায় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কার্যকর ভূমিকা ও কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। তারা মনে করছেন, পর্যটন শহরের ভাবমূর্তি রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সামাজিক অবক্ষয় ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
コメントがありません