কিশোরগঞ্জের নিসর্গময় হাওরের প্রাকৃতিক পরিবেশে এক বিশেষ নৌভ্রমণের আয়োজন করে বনগ্রাম গাউসিয়া রহমানীয়া হুসাইনিয়া আলীম মাদ্রাসা। ঢেউয়ের কলতান আর শাপলার লাল-সাদা হাসির মাঝে অনুষ্ঠিত এ ভ্রমণ কেবলমাত্র একটি আনন্দঘন ভ্রমণই নয়, বরং শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে আত্মিক বন্ধনের এক অনন্য উৎসব হয়ে উঠে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. রফিকুল ইসলামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই ভ্রমণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান লিটন। তিনি ভ্রমণ শেষে তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “শিক্ষকদের পারস্পরিক সম্প্রীতি যেমন শিক্ষার পরিবেশকে সমৃদ্ধ করে, তেমনি এমন আয়োজন তাদের মনে নতুন প্রাণশক্তি যোগায়।”
সারাদিনের এই ভ্রমণ ছিল আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভরপুর। শিক্ষক-কর্মচারীরা গল্প আর আড্ডায় মেতে উঠেছেন। নৌকার দোল আর হাওরের শান্ত স্নিগ্ধতা তাদের হৃদয়ে এনে দিয়েছে প্রশান্তি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রীতি ভোজ ও মুক্ত মতবিনিময় ভ্রমণটিকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা।
অধ্যক্ষ মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম এই ভ্রমণ সম্পর্কে বলেন, “শিক্ষক শুধু পাঠদাতা নন, তিনি সমাজের আলোকবর্তিকা। তাদের মধ্যে সৌহার্দ্য, ভালোবাসা ও মানসিক প্রশান্তি তৈরি করাই এ ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য।” তিনি আরও বলেন যে, এই ধরনের আয়োজন শিক্ষকদের কর্মস্পৃহা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে।
শিক্ষক-কর্মচারীরা এদিনকে জীবনের এক অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে স্মরণে রাখবেন বলে জানান। তাদের মতে, এমন আয়োজন শিক্ষাক্ষেত্রে কর্মস্পৃহা বাড়ানোর পাশাপাশি পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে। ঢেউয়ের দোল, নীলাকাশের বিস্তার আর হাসিখুশি মুখরতায় ভরা এই নৌভ্রমণ যেন থেকে গেল সবার মনে এক অমলিন কবিতা হয়ে।
এই ভ্রমণের মাধ্যমে মাদ্রাসার শিক্ষকদের মধ্যে যে বন্ধন তৈরি হলো, তা ভবিষ্যতে তাদের কাজের পরিবেশকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকদের মানসিক প্রশান্তি ও তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি বাড়ানোর জন্য এ ধরনের উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।