১২ আগস্ট, কিশোরগঞ্জে শহীদ সাজু মিয়ার প্রথম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের পেছনে ছিলেন শ্রমিক অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান। কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান উপস্থিত ছিলেন।
আল ইমরান তার বক্তব্যে বলেন, "সাজু মিয়া ছিলেন পঞ্চগড় জেলার একজন সক্রিয় কর্মী। আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে তিনি আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন এবং ১২ আগস্ট তার মৃত্যু হয়। এই আন্দোলনে অনেক শ্রমিক অধিকার কর্মী আহত ও নিহত হয়েছেন। আমরা জুলাইয়ের আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুর হক নুরের নির্দেশনায় রাজপথে ছিলাম। আমাদের অনেক নেতা-কর্মী দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন।"
সাজু মিয়ার মৃত্যুর পর তার পরিবার বিশেষ করে ২৭ দিন বয়সী সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে। এই প্রসঙ্গে আল ইমরান বলেন, "আমরা বিচার বিভাগের সংস্কার, আইনি সংস্কার এবং দুর্নীতি মুক্ত সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু সেই স্বপ্ন আজও অধরা। আমাদের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের জন্য কোনো সুবিচার পাইনি।"
আল ইমরান আরও বলেন, "ভিপি নুরের নেতৃত্বে আমরা ক্ষমতায় এলে শহীদের চেতনা বুকে ধারণ করে আমরা বিচার নিশ্চিত করবো। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করে আইন সবার জন্য সমান করবো। শহীদ পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব সরকারিভাবে নেয়া হবে।"
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক সরকার, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ লস্কর পাপ্পু এবং অন্যান্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
এই স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা শহীদ সাজু মিয়ার আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। সভায় শ্রমিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।