close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

খুলনার শিববাড়ি মোড় থেকে রয়েল মোড়: সংস্কারের ৯ মাসেই সড়কের বেহাল দশা..

Mohammad Ariful Islam avatar   
Mohammad Ariful Islam
খুলনার কেডিএ অ্যাভিনিউয়ের সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যেই সড়কটি বেহাল অবস্থায় পৌঁছেছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।..

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) অধীনে নগরীর শিববাড়ি মোড় থেকে রয়েল মোড় পর্যন্ত কেডিএ অ্যাভিনিউয়ের সংস্কার কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর। ১ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কটির সংস্কারে কাপেটিং (বিটুমিনের প্রলেপ) করতে কেসিসি ব্যয় করেছে ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। কিন্তু, মাত্র ৯ মাসের মাথায় সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

 

সম্প্রতি সড়কটি পরিদর্শন করে দেখা গেছে, বিভিন্ন অংশে ছোট পাথরের স্তর উঠে গেছে এবং কিছু স্থানে গর্ত তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে মটরসাইকেল চালকদের জন্য এটি দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। শিববাড়ি, সাতরাস্তা ও রয়েল মোড়ে গর্তের পেছনে বৃষ্টির পানি জমে থাকাকে দায়ী করছেন কেসিসির প্রকৌশলীরা। তবে অন্যান্য স্থানের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তারা কোনো মন্তব্য করেননি।

 

কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স এন্ড রিকভারি’ প্রকল্পের আওতায় এই সড়কটি সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছিল। কাজটি শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের ১ জুলাই, এবং ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই তা শেষ করা হয়। কিন্তু, এলাকাবাসী সড়কের দ্রুত নষ্ট হওয়ার কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

 

বিশ্লেষণে জানা যায়, ঠিকাদারি কাজের বিল থেকে ১০ শতাংশ টাকা জামানত হিসেবে রেখে দেওয়া হয়, যা সড়ক নষ্ট হলে মেরামতের কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কেসিসি এই নিয়ম যথাযথভাবে প্রয়োগ করলে এমন পরিস্থিতি হয়তো সৃষ্টি হতো না।

 

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান এ ব্যাপারে বলেন, 'কোটি কোটি টাকা দিয়ে সংস্কার করা সড়ক যদি ৯ মাসেই নষ্ট হয়ে যায়, এর দায় কেসিসি এড়াতে পারে না।' তিনি সড়ক সংস্কারের জন্য জড়িতদের শাস্তি এবং ঠিকাদারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবি জানান।

 

কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান জানান, 'বৃষ্টির কারণে সড়কের কয়েকটি স্থান দ্রুত নষ্ট হয়েছে। বিষয়টি ঠিকাদারকে জানানো হয়েছে। বৃষ্টি কমলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক মেরামত করবে।' তবুও, স্থানীয়দের মধ্যে এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে।

 

এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা নয়, বরং সড়ক নির্মাণের মান এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তোলে। খুলনার এই সড়ক সংস্কার ঘিরে স্থানীয় জনগণের হতাশা এবং ক্ষোভ নতুন করে নগর উন্নয়নের চ্যালেঞ্জকে সামনে নিয়ে আসে।

No comments found