শুক্রবার গভীর রাতে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার আলীর ক্লাবের পাশের হোটেল তাজমহলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ সাকিবকে গ্রেপ্তার করে। সাকিব সোনাডাঙ্গা গির্জা রোডের বাসিন্দা এবং তার পিতার নাম শেখ আ. জব্বার।
সোনাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই জানান, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে শেখ সাকিব আত্মগোপনে চলে যান। কিন্তু আত্মগোপনেও তিনি সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তার অবস্থান নজরদারিতে রেখেছিল।
এসআই হাই আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে আলীর ক্লাব সংলগ্ন হোটেল তাজমহলে অভিযান চালানো হয়। রাত দেড়টার দিকে পুলিশ তাকে আটক করে। শেখ সাকিবের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং এ মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হতে পারে।
এদিকে, শেখ সাকিবের গ্রেপ্তারের খবরে খুলনার রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ঘটনার মাধ্যমে খুলনার রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন এ বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেখ সাকিবের গ্রেপ্তারের পর রাজনৈতিক মহলে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে আসছে। নাশকতা মামলায় তার সম্পৃক্ততা এবং এর পেছনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা চলছে।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শেখ সাকিবের বিরুদ্ধে আরও কিছু মামলা রয়েছে যা আদালতে বিচারাধীন। এই গ্রেপ্তার তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে নতুন মোড় আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খুলনার স্থানীয় জনগণ এ গ্রেপ্তারের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কেউ কেউ পুলিশের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানালেও, অন্যরা এটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে দেখছেন।
এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এবারের গ্রেপ্তার ও মামলার প্রক্রিয়া খুলনার রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিবে। এ ধরনের ঘটনা রাজনৈতিকভাবে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে, আগামী দিনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ ধরনের গ্রেপ্তার বেশি প্রভাব ফেলবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।