close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে প্রায় ১.৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ, গ্রেপ্তার হয়েছে ক্যান্টিন বয়।..

Rudra Biswas avatar   
Rudra Biswas
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে প্রায় ১.৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ, গ্রেপ্তার হয়েছে ক্যান্টিন বয়।..

রিপোর্টার রুদ্র বিশ্বাস খুলনা 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) খানজাহান আলী হলের ক্যান্টিন থেকে প্রায় ১ কেজি ৬০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করেছে। অভিযানের সময় ক্যান্টিন বয় মেরাজকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মেরাজ দীর্ঘদিন ধরে হলে মাদক সরবরাহের সঙ্গে জড়িত। ছাত্রদের মধ্যে মাদক সেবন বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ আসার পর থেকেই পুলিশ এ বিষয়ে সতর্ক ছিল। 

 

একজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "আমরা জানতাম কিছু একটা হচ্ছে, কিন্তু এত বড় মাপের মাদক যোগান দেয়া হচ্ছে, তা কল্পনাও করিনি।" শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল বাশার বলেন, "এ ধরনের কর্মকাণ্ড কখনোই সহ্য করা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।"

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে আদালতে তোলা হবে। মাদকদ্রব্যের ব্যবহার তরুণ সমাজের নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হতে পারে, এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সচেতন হওয়া জরুরি।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদক প্রবেশ রোধ করতে কেবলমাত্র আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তৎপরতা যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষার প্রসার ঘটানো। এছাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নজরদারি বাড়ানোও অত্যন্ত জরুরি।

 

এই ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যে তারা যেন কোনো ধরনের সন্দেহজনক কার্যক্রম দেখলে প্রশাসনকে অবহিত করে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

No comments found