মো. আজিজার রহমান, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: যার নাম ‘মাঝিয়ালির চর’। চারপাশে নদীর ঢেউ আর সবুজ প্রকৃতির মাঝে মাত্র ১৩ টি পরিবার প্রায় ২০ একরের এ চরে বসবাস করছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে
সরেজমিনে খোঁজ নিতে আমাদোর এই প্রতিবেদক জানতে পারে, শীত-গ্রীষ্মে এখানকার জীবন চলে চাষাবাদ, গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি পালনের মাধ্যমে। কিন্তু বর্ষা এলে পুরো দৃশ্যপট বদলে যায়। টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি বেড়ে চরটি জলবেষ্টিত হয়ে পড়ে। তখন অসুস্থ রোগী বা জরুরি কাজে পারাপার হতে হয় কষ্ট করে, কারণ নিজেদের কোনো নৌকা নেই। ভাড়া করে নৌকা ব্যবহার করলেও তা অনিয়মিত।
স্থানীয় বৃদ্ধ আব্দুল লতিফ বলেন, “ ৭১ সালে যুদ্ধের পর থেকেই এখানে বসবাস করছি আমরা। বর্ষায় নদীর পানি বাড়লে আমরা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই। অসুস্থ হলে বা জরুরি কাজে বাইরে যেতে অন্যের নৌকা ভাড়া করতে হয় আমাদের। অনেক সময় নৌকা পাওয়া যায় না, ভোগান্তিতে থাকতে হয়।”
মাঝিয়ালির চরের বাসিন্দা সোহেল ইসলাম বলেন, “বর্ষায় বাজার করা থেকে শুরু করে স্কুলে যাওয়া সবকিছুই ভোগান্তিকর হয়ে যায়। বিশেষ করে কেউ অসুস্থ হলে চিন্তা বেড়ে যায়। আমাদের নিজের একটি নৌকা থাকলে এই কষ্ট অনেকটাই কমে যেত।”
আলোকঝাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, এর আগে তাদের যাতায়াতের জন্য নৌকা দেওয়া হয়েছিল সেটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে পুনরায় নৌকা তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার বলেন, “মাঝিয়ালির চরের যাতায়াত সমস্যা সম্পর্কে জানার পরে আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। জরুরি পরিস্থিতিতে যেন তারা নৌকায় যাতায়াত করতে পারে, সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”