close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

কেন্দুয়া কৃষি অফিসে সিন্ডিকেট পতন: মূল হোতা আব্দুল হক মিয়া বদলি, ফিরছে সুশাসন।....

MD.IQBAL KABIR avatar   
MD.IQBAL KABIR
কেন্দুয়া কৃষি অফিসে সিন্ডিকেট পতন: মূল হোতা আব্দুল হক মিয়া বদলি, ফিরছে সুশাসন <br>নেত্রকোণা, ২৬ জুলাই ২০২৫: অবশেষে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি অফিসে দীর্ঘদিনের প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের আধিপ..

কেন্দুয়া কৃষি অফিসে সিন্ডিকেট পতন: মূল হোতা আব্দুল হক মিয়া বদলি, ফিরছে সুশাসন
নেত্রকোণা, ২৬ জুলাই ২০২৫: অবশেষে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি অফিসে দীর্ঘদিনের প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের আধিপত্য ভেঙে পড়েছে। এই সিন্ডিকেটের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পরিচিত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হক মিয়াকে তদন্তে মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কৃষি দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সালমা লাইজু স্বাক্ষরিত এক আদেশে গত ১৫ জুলাই তাকে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলায় বদলি করা হয়। পরদিন ১৬ জুলাই তিনি কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ছাড়পত্র নিয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল হক মিয়া দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নিজের ইউনিয়নে থেকেই চাকরি করে আসছিলেন। তিনি প্রকল্প গ্রহণ, বাজেট বরাদ্দ ও বাস্তবায়নে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব চালাতেন। এমনকি সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রচারণায় অংশগ্রহণের অভিযোগ রয়েছে, যা সরকারি চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী।
গত ১২ মে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের বিরুদ্ধে ৪২ জন কর্মচারীর স্বাক্ষরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছিল। তবে তদন্তে দেখা যায়, অভিযোগকারীদের অনেকে জানতেনই না যে তাদের নামে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি চাকরিতে না থাকা ব্যক্তিদের স্বাক্ষরও ওই অভিযোগে ব্যবহৃত হয়। তদন্ত শুরুর আগেই কিছু অসাধু কর্মচারী সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করেন, যা সরকারি আচরণবিধির লঙ্ঘন। একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, আব্দুল হক মিয়া অফিসে সহকর্মীদের হুমকি দিতেন, সিনিয়রদের সাথে দুর্ব্যবহার করতেন এবং অফিস পরিচালনায় অহেতুক হস্তক্ষেপ করতেন, যার ফলে অফিসের পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হতো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সিন্ডিকেটবিরোধী অবস্থান নেন, যার ফলে তিনি একাধিক ষড়যন্ত্রের লক্ষ্যবস্তু হন। তবে তদন্তে অভিযোগের ভিত্তিহীনতা প্রমাণ হওয়ায় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
স্থানীয় সচেতন মহল এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কেন্দুয়া কৃষি অফিসে শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরে এসেছে। তবে তারা মনে করছেন, প্রশাসনের কঠোর নজরদারি না থাকলে পুরনো সিন্ডিকেট পুনরায় সক্রিয় হতে পারে।

Nessun commento trovato