পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক ব্যতিক্রমধর্মী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন কয়েকজন যুবক। স্থানীয় পর্যায়ে স্বনির্ভরতা অর্জন এবং আমিষের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্য নিয়ে তারা সরকারিভাবে খননকৃত খালে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছেন।
মৎস্য অধিদপ্তরের ক্লাইমেট এক্সপার্ট এগ্রিকালচারাল প্রোগ্রাম এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় খাল খনন কর তা অবমুক্ত করার পর এলাকাবাসীর উদ্যোগে এতে দেশীয় প্রজাতির রুই, কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া ও শিং-মাগুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ছাড়া হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী একদিকে যেমন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে, অন্যদিকে দেশীয় মাছের প্রজাতি সংরক্ষণ ও বিস্তারে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্থানীয় যুবক মো. আনিসুর রহমান বলেন, “আমরা কয়েকজন যুবক মিলে এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য শুধু মাছ চাষ নয়, বরং গ্রামের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলা। এই খালের তীরবর্তী জনগণ সম্মিলিতভাবে খালটির দেখভাল করবে। মাছ বড় হলে সবাই মিলে আহরণ করবে। এছাড়া একটি সমিতি গঠন করে মাছ বিক্রির আয় থেকে সবার ন্যায্য অংশ নিশ্চিত করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই প্রকল্প সফল হলে আমরা আশপাশের আরও কয়েকটি খালেও একইভাবে পোনা ছাড়ার পরিকল্পনা করছি, যাতে গোটা ইউনিয়নটি মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ হতে পারে।”
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী বলেন, “বোয়ালিয়া গ্রামের যুবকদের এই সমিতিভিত্তিক মাছ চাষ উদ্যোগটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এতে একদিকে স্থানীয় জনগণের আর্থিক উন্নয়ন ঘটবে, অন্যদিকে আমিষের ঘাটতি পূরণ হবে এবং মৎস্যসম্পদে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হবে। মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে আমরা এ ধরনের উদ্যোগে সবধরনের কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাব।”
স্থানীয় বাসিন্দারাও এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, এই খালকে কেন্দ্র করে একটি টেকসই মৎস্যভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে উঠবে, যা গ্রামাঞ্চলের তরুণদের স্বনির্ভর হতে অনুপ্রাণিত করবে।
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			