প্রথম বাংলা সংবাদপত্র এর বিশেষ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগত।
আমরা সত্য সংবাদ প্রকাশে অঙ্গীকারবদ্ধ। আজ প্রশ্ন তুলছি, মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের 'জিরো টলারেন্স' নীতি কি কেবলই মুখের কথা?
গত ২৪ সেপ্টেম্বর। নারায়ণগঞ্জ সদর থানা এলাকার জিমখানায় যখন যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হলো, তখন আশা জেগেছিল সাধারণ মানুষের মনে। ওসি নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। আটক হন শহরের শীর্ষ মাদক সম্রাট আলম চান সহ মোট ২৪ জন।
কিন্তু সেই আস্থার জাল ছিন্ন করে আমাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলো এক ভয়ংকর চিত্র! আটককৃতদের মধ্যে ছিল এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি— সুজন, ওরফে চাক্কা সুজন। যখন মনে হচ্ছিল ন্যায় প্রতিষ্ঠিত, ঠিক তখনই শুরু হয় আসল নাটক।
গোপন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে সুজনকে পালানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়। প্রশ্ন উঠেছে, কার নির্দেশে? কে দিল এই সাহস? আমাদের হাতে আসা দৃশ্যে দেখা যায়, বিতর্কিত এসআই সহিদুলকে বারবার কথা বলতে দেখা যায় ওসি নাসির উদ্দিনের সাথে। ঠিক তার পরপরই, প্রশাসনের নাকের ডগায়, হাতকড়া খুলে সুকৌশলে পালাতে সাহায্য করা হয় মাদক সম্রাট সুজনকে।
জনগণের প্রশ্ন—যদি মাদক ব্যবসায়ীকে পালাতে সাহায্য করাই ছিল উদ্দেশ্য, তাহলে এতো বড়ো লোকদেখানো অভিযান কেন? এই অভিযান কি কেবলমাত্র মানুষের চোখে ধুলো দিতে?
'প্রথম বাংলা সংবাদপত্র ' এই গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ সুপার বরাবর দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের জোর দাবি জানাচ্ছে। আমরা সেই সত্য প্রকাশে অঙ্গীকারবদ্ধ, যা জনস্বার্থে অপরিহার্য।
এই ঘটনার পরবর্তী সব আপডেট পেতে চোখ রাখুন প্রথম বাংলা সংবাদপত্র -এর অনলাইন পোর্টাল এবং ফেসবুক পেজে। আপনাদের সহযোগিতা আমাদের অনুসন্ধানের শক্তি।



















