জুলাই চেতনা বাস্তবায়নে জন-আকাঙক্ষার জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি করে গণভোটের মাধ্যমে কিংবাঅধ্যাদেশ জারি করে জুলাই ঘোষণাপত্রের আইনি রূপ দিতে হবে । নতুবা রাষ্ট্রের সংস্কারকিংবা গণহত্যার বিচার নিশ্চিত হবে না। তিনি আরো বলেন, পিআর পদ্ধতি ব্যতিত জনগণের সরকারবা জনগণের সংসদ গঠিত হবে না। পুরোনো ব্যবস্থার নির্বাচনে আবারো ফ্যাসিবাদের উত্থানঘটবে। তাই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার, বিগত ১৭ বছরের প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার,জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের এবং আহত-পঙ্গুত্ববরণকারীদের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতেজাতীয় নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত, সকল রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের সমানসুযোগ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ এবং জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার প্রত্যাশিত বৈষম্যহীন, ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।
সোমবার(১১ আগস্ট) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হাজারীবাগ উত্তর থানার বিশেষ রুকন সমাবেশে প্রধানঅতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি, উপস্থিত রুকন সদস্যদের আগামী নির্বাচনেরমাধ্যমে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকতে আহ্বান জানান।
হাজারীবাগ উত্তর থানা আমীর মো. মাহফুজ আলমের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম সোহেলেরপরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও ধানমন্ডি জোন পরিচালকঅধ্যাপক নুর নবী মানিক এবং মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য শেখ শরীফ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়াওসমাবেশে ধানমন্ডি জোনের থানা আমীরসহ দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ড.হেলাল উদ্দিন বলেন, ইসলাম বিদ্বেষীরা জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে এবং ইসলামী দলগুলোরজোটে বাঁধা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে নানা রকম অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে। এজন্যইসলামী দলগুলোর সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সর্তক থাকতে হবে। তবে যতই অপপ্রচারও ষড়যন্ত্র করা হোক, দুনিয়াবি কোনো শক্তি প্রয়োগ করে জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রা থামানোযাবে না। কারণ জামায়াতে ইসলামীর প্রধান শক্তি সংগঠনের আদর্শ ও নৈতিকবান রুকন এবং কর্মীরা।যারা অন্যায় করে না, অন্যায়কে প্রশয় দেয় না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্যজীবন বিলিয়ে দেয়।