স্টাফ রিপোর্টারঃ চোরাকারবারীদের সঙ্গে যোগসাজশ এবং চোরাই মোবাইল ফোন আটকের পর তা আত্মসাৎ করার অভিযোগে যশোরের ঝিকরগাছা থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাশার গণমাধ্যমকে জানান, অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা হলেন:উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু,সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ওয়ালিদ।তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অনৈতিক কাজের অভিযোগ উঠেছে, যার প্রাথমিক সত্যতা মেলায় তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি যশোর ডিবি পুলিশ একটি অভিযানে সাইফুল ইসলাম নামে এক চোরাকারবারীকে আটক করে। ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল ইসলাম তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ি থেকে ৪৪টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। এরপর সাইফুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার সময় এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করে।আদালতে সাইফুল জানায়, এর আগে ঝিকরগাছা থানার এসআই রাজু এবং এএসআই ওয়ালিদ তাকে চোরাই মোবাইল ফোনসহ আটক করেছিলেন। কিন্তু তারা চোরাই মোবাইলগুলো জব্দ না করে এবং তার বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। সাইফুল আরও জানায়, ওই পুলিশ কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইলগুলো নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিলেন।
সাইফুলের জবানবন্দি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নজরে এলে তারা দ্রুত তদন্ত শুরু করেন। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর বুধবার রাতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজড করে যশোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার জানান, "আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করে তাদের ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলমান রয়েছে। যদি তদন্তে দোষ প্রমাণিত হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এই ঘটনাটি পুলিশের মধ্যে থাকা কিছু অসাধু সদস্যের দুর্নীতি এবং অপরাধীদের সঙ্গে আঁতাতের বিষয়টি আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। এটি সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থাহীনতা তৈরি করতে পারে।