বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা আজ এক ভয়াল সময়ে দাঁড়িয়ে—যেখানে বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ, মানবাধিকার লঙ্ঘিত, আর গণতন্ত্র শ্বাসরুদ্ধ। এমন দমবন্ধ পরিস্থিতিতেও কিছু সাহসী তরুণ তাদের আদর্শের মশাল হাতে রাজপথে দাঁড়িয়ে আছে। সেই সাহসী মুখগুলোর একজন নবীন—ছাত্রদলের এক উদীয়মান নেতা, যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামে নিজেকে সম্পূর্ণ নিবেদন করেছেন।
ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই নবীন জাতীয়তাবাদী ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। দেশের সংকটময় সময়ে তিনি কখনো রাজপথ ছাড়েননি। প্রতিটি আন্দোলন, প্রতিটি কর্মসূচিতে ছিলেন সম্মুখ সারিতে। ছাত্রলীগের একের পর এক হামলা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক একাধিক মামলা, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সশস্ত্র হুমকিতে বের করে দেওয়ার পরও নবীন থেমে যাননি।
বিপরীতে, প্রতিটি আঘাত তাকে আরও দৃঢ় করেছে, আরও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করেছে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে লড়াইয়ে।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নবীনের ভূমিকা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সাভার, আশুলিয়া ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বৈরাচারবিরোধী তরুণ আন্দোলনের সামনের সারিতে। রাজপথে ছাত্রজনতার জাগরণে নবীনের দৃঢ় নেতৃত্ব নতুন আশার আলো দেখিয়েছে। গুলিতে সহযোদ্ধাদের মৃত্যু, রক্তাক্ত সহপাঠীদের আর্তচিৎকার—সবকিছুর সাক্ষী থেকেও তিনি পিছু হটেননি। বরং লড়েছেন শেষ পর্যন্ত, গণমানুষের মুক্তির আশায়।
রাজনীতি নবীনের কাছে কোনো পদ-পদবি বা ক্ষমতার খেলা নয়। তিনি বিশ্বাস করেন—একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হলে বৈষম্য, দমননীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিটি মানুষকে সোচ্চার হতে হবে। তার রাজনৈতিক দর্শনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, “যদি ন্যায়ের রাষ্ট্র গড়ার পথে জীবন দিতে হয়, তবুও আমি পিছিয়ে যাব না।”
নবীনের এই সংগ্রাম আসলে এক প্রজন্মের লড়াই—যে প্রজন্ম বিশ্বাস করে স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ কেবল ভোটের বাক্সে নয়, বরং মানুষের চিন্তা, কথা বলার অধিকার ও ন্যায়ের নিশ্চয়তায় নিহিত। তার এই আদর্শনিষ্ঠ পথচলা তরুণদের মনে জাগায় এক নতুন প্রত্যয়: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্ন।



















