close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

জ্বালানি, অর্থনীতি, বাংলাদেশ, মূল্যহ্রাস, মন্ত্রণালয়

M R Jewel avatar   
M R Jewel
সরকার জুন মাস থেকে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারিত হয়েছে।..

বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস করা হয়েছে, যা আগামী ১ জুন থেকে কার্যকর হবে। শনিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই মূল্য হ্রাসের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ১০৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০২ টাকা করা হয়েছে। অকটেনের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা এবং পেট্রলের দাম ১২১ টাকা থেকে কমিয়ে ১১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও, কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকায় সমন্বয় করা হয়েছে।

এই মূল্য পরিবর্তনের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য পরিবর্তন। সরকার জানিয়েছে, বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এই পরিবর্তনের ফলে ভোক্তারা কিছুটা হলেও আর্থিক স্বস্তি পেতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মূল্য হ্রাস দেশে পণ্য পরিবহন খরচের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যা সামগ্রিকভাবে বাজারের উপরে প্রভাব ফেলতে পারে। তারা আরও উল্লেখ করেন যে, জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাসের ফলে কৃষি এবং শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যয় কমে আসবে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য সুসংবাদ।

তবে, কিছু সমালোচক বলছেন, এই মূল্য হ্রাস যথেষ্ট নয় এবং এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা মনে করেন, সরকারকে আরও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে যাতে স্থানীয় উৎপাদনের উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতার প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষা করা যায়।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য গত কয়েক মাস ধরে নিম্নমুখী ছিল, যা এই মূল্য হ্রাসের পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। তবে, বাজার বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, বিশ্ব পরিস্থিতি যেকোনো সময় পরিবর্তিত হতে পারে এবং এর ফলে মূল্য আবারও বাড়তে পারে।

ভোক্তাদের জন্য এই মূল্য হ্রাস কিছুটা হলেও স্বস্তি বয়ে আনলেও, সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের উদ্যোগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি বলে মনে করছেন অনেকেই।

Ingen kommentarer fundet