close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

জাউবাগান বিলীন

Md Hero avatar   
Md Hero
জাউবাগান বিলীন—প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার সৈকত।

কক্সবাজারের জাউবাগান বিলীন: পরিবেশ রক্ষায় সময়ের দাবি কক্সবাজারের জাউবাগান ক্রমশ ধ্বংসের মুখে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষায় জরুরি প্রয়োজনীয়তা।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, যা পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকত হিসেবে পরিচিত, তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশের জন্য বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের আকর্ষণ করে। সমুদ্রের কোলঘেঁষে বিস্তৃত জাউবাগান দীর্ঘদিন ধরে সৈকতের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রাকৃতিক বর্ম হিসেবে কাজ করে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি এই জাউবাগান ক্রমাগত ধ্বংসের মুখে পড়েছে। সমুদ্র ভাঙন, অপরিকল্পিত উন্নয়ন এবং পর্যটন কেন্দ্রিক চাপের কারণে জাউ বাগানের শেকড় হারাচ্ছে, আর তার সঙ্গে সঙ্গে কক্সবাজারও হারাচ্ছে তার প্রাকৃতিক রূপ।জাউবাগানের ধ্বংসের প্রভাব কেবলমাত্র সৌন্দর্যহানি নয়, বরং এটি পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতাও সৃষ্টি করছে। জাউবাগান সৈকতের বালিয়াড়ি স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে এবং এই গাছপালা ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাসের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করে। তবে বর্তমানে এসব গাছের শেকড় উপড়ে পড়ছে, যার ফলে সৈকতে ভূমিক্ষয় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, সময় থাকতেই যদি এই সংকট মোকাবেলায় উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তবে অচিরেই কক্সবাজার হারাবে তার এক অমূল্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য—জাউবাগান। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলী বলেন, 'জাউবাগান আমাদের জন্য প্রাকৃতিক আশ্রয়স্থল ছিল। এখন এই গাছগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, আমরা দেখছি কিভাবে আমাদের পরিবেশও বিপন্ন হয়ে পড়ছে।'কক্সবাজারের এই সংকটময় পরিস্থিতি নিয়ে পরিবেশবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিবেশবিদ ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'জাউবাগান কেবল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়, এটি সমুদ্রের লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের জন্য অপরিহার্য। এই ধ্বংস আমাদের পরিবেশের উপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।'এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। উপকূল সংরক্ষণ, জাউবাগান পুনরুদ্ধার এবং সচেতন পর্যটনের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি, স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় গাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।এই সংকট সমাধানে স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশবিদ এবং সাধারণ জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। কক্সবাজারের জাউবাগান রক্ষা করা কেবলমাত্র একটি স্থানীয় সমস্যা নয়, এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় এখনই উদ্যোগী হতে হবে। নতুবা আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বিপন্ন পরিবেশ রেখে যাবো।পরিবেশকর্মী শারমিন আক্তার বলেন, 'আমাদের প্রয়োজন সচেতনতা বাড়ানো এবং পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আমরা যদি এখনই পদক্ষেপ না নেই, তবে আমাদের সুন্দর কক্সবাজার ধ্বংস হয়ে যাবে।'ট্যাগস: পরিবেশ, কক্সবাজার, সমুদ্রভাঙন, পর্যটন, জীববৈচিত্র্য

コメントがありません