জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় একটি উল্লেখযোগ্য অভিযানে ১৬০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত ১৮ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের চন্দ্রাবাজ মধ্যপাড়া এলাকা থেকে এই চাল উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হোসনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাট্টাজোড় ইউনিয়নের চন্দ্রাবাজ গ্রামের দুই ব্যক্তির বসতবাড়ি থেকে এই চাল উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন আজগর আলীর ছেলে আল আমীন এবং আক্কাছ আলীর ছেলে সাদ্দাম আলী। স্থানীয় জনগণের মাধ্যমে এই সংবাদ পেয়ে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। পুলিশের সার্বিক সহায়তায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হোসনা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চালগুলো জব্দ করেন এবং সেগুলো থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হোসনা সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, 'জব্দকৃত চালগুলো পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। চালের প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ করতে আমরা কাজ করছি। তবে ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কোন মামলা করা সম্ভব হয়নি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।'
এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি চাল ব্যক্তিগতভাবে মজুদ রাখার বিষয়টি গুরুতর অপরাধ বলে গণ্য করা হয় এবং এটি খাদ্য নিরাপত্তা ও দুর্নীতি সম্পর্কিত বিষয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ঘটনা সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় ফাঁক-ফোকর নির্দেশ করে। তারা মনে করেন, এ ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সতর্ক হতে হবে এবং খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে।
বকশীগঞ্জের এই ঘটনা পুরো এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও তারা আরও কঠোর তদন্ত এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় এমন ঘটনা প্রতিরোধে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসন এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।